সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউকে লন্ডন মহানগরের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‘শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ছিল দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ’ ২৪ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে ইসলামী আলোচক আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ প্রকাশিত হচ্ছে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের ‘হাসানুল ফতোয়া’ তাড়াইলে মাদক-জুয়া ও অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশ নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, দ্রুতই রোডম্যাপ : ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শনিবার বাংলাদেশ সফরে এলেন দেওবন্দের উস্তাদ মুফতি ফখরুল ইসলাম এলাহাবাদী আগামীকাল শরীফগঞ্জে আসছেন সাইয়েদ আরশাদ মাদানী

মক্কা লাইব্রেরি: যেখানে পাঠক থেকে দর্শনার্থী বেশি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী

মসজিদে হারামের পাশে সাফা-মারওয়া পাহাড়ের সাঈর স্থান থেকে পূর্ব দিকে গেলে একটি হলুদ রঙের দোতলা বাড়ি। বাড়ির জানালাগুলো কাঠের তৈরি। বর্তমানে এটি মক্কা লাইব্রেরি।

অনেকেই মনে করেন, এ বাড়ির পবিত্র ভিটিতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিতা আবদুল্লাহর ঘর অবস্থিত। বাবা আবদুল্লাহর এ ঘরেই প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে এ ঘরেই বসবাস করতেন। যদিও এ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য কোনো ঐতিহাসিক তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায় না। বাড়ির দেয়ালে লাগানো একটি নোটিশ বোর্ডেও বাংলাসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় লেখা রয়েছে, "হে মুসলিম ভাই! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঠিক জন্ম স্থানের উপর কোনো বিশুদ্ধ দলীল নেই।

অতএব, এ স্থান থেকে বরকত গ্রহণ করা কিংবা এটাকে সালাত ও দু'আর জন্য নির্দিষ্ট করা শরয়ীভাবে জায়েজ নয়।" তবুও মক্কা নগরীতে এটি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত।

তাই হজ করতে আসা মানুষ এ বাড়িটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এখানে সবসময় দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকে। ২০১৯ সালে হজের সফরে একদিন আসরের নামাজের পর গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন দেশের হাজিরা দল বেধে মক্কা লাইব্রেরিতে ছুটে আসছেন। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হাজিরা লাইব্রেরির চারপাশ ঘুরে ফিরে দেখছেন।

সৌদি সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয় এ লাইব্রেরির তত্ত্বাবধায়ন করছে। বিশ্বের নামিদামি পাঠাগারগুলোর মধ্যে মক্কা লাইব্রেরি অন্যতম। লাইব্রেরির প্রসপেক্টাস থেকে জানা যায়, সৌদির বিখ্যাত শায়েখ আব্বাস কাত্তান ১৩৭০ হিজরিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যয়ে এটি নির্মাণ করেন।

বর্তমানে এর সংগ্রহে রয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক বই। এর মধ্যে ৮ হাজারের অধিক মুদ্রিত-অমুদ্রিত পান্ডুলিপি রয়েছে। দুর্লভ পান্ডুলিপি আছে প্রায় ৫ হাজারের মতো।

এ লাইব্রেরির বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। লাইব্রেরির বিশাল হলরুমে রয়েছে এক লাখেরও বেশি সংকলন। এর পরিসেবা বিভাগটি সাধারণ পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো আগ্রহী পাঠক এখানকার মনোরম পরিবেশে এসে অধ্যয়ন করতে পারেন। লাইব্রেরির পান্ডুলিপি বিভাগ নির্ধারিত করা হয়েছে গবেষকদের জন্য।

গবেষণার জন্য এখানে প্রায় ৬৮৪৭টি মূল পান্ডুলিপি রয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৫৮টি অনারবি এবং ২৩১৪টি ফটোকপি পান্ডুলিপিও রয়েছে। এ ছাড়াও এখানে রয়েছে প্রশিক্ষণ বিভাগ, ইলেকট্রনিক লাইব্রেরি বিভাগ, মাইক্রো ফিল্ম বিভাগ, ফটো মাইক্রো ফিল্ম বিভাগ, হারামাইন স্টল, নারী বিভাগসহ আরও অনেক সুবিধা।

লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ