বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৬ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই দ্রব্যমূল্য ভীষণভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে।

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান এ কথা বলেন।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তার সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নানামুখী কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রজমান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করি।

প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যে টিসিবির বর্তমান ও আগের বাজারমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা জানান, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজারমূল্য ছিল ১৭০ টাকা, ৫ এপ্রিল এ মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময় সয়াবিন খোলা প্রতি লিটার ১৭৫ থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পাম ওয়েল প্রতি লিটার ১৫৮ থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এছাড়া টিসিবি সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকায়।

তিনি আরও জানান, মসুর ডালের কেজি গত ১ মার্চ ছিল ১২০ টাকা। তা কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এসময় টিসিবি বিক্রি করেছে ৬৫ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৭৮ টাকা। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। ছোলার কেজি ১ মার্চের ৭৭ থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে।

এ সময় টিসিবি বিক্রি করেছে ৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ