নুরুদ্দীন তাসলিম।।
কোরআন শরীফ অর্থ না বুঝে মুখস্থ করলে কুরআনের হক আদায় হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বক্তা আবু তহা মুহাম্মদ আদনান। এছাড়াও তিনি বলেছেন, ইংরেজি ভাষা শেখাকে আলেমরা হারাম ফতোয়া দিয়েছেন এই ফতোয়ার মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষিতদের পিছনে ফেলে রাখা হয়েছে এর দায়ে কাঁধে নেবে কে?
শেক্সপিয়রের একটি বইয়ের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, এই বই যদি কেউ মুখস্ত করে ইংরেজি না বুঝে তাহলে কি সে এর মূল উদ্দেশ্য অর্জন করতে পারবে? ...পারবে না। ঠিক তেমনি অর্থ না বুঝে যেই শিশুরা কুরআন হেফজ করছে তারা উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে উঠে আসা বক্তা আবু তহা আদনান-এর বক্তব্য অনলাইন অফলাইনে বেশ সমালোচনা তৈরি করেছে।
লেখক আলেম মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক লিখেছেন, এই যুগে যোগ্য না হয়েও বিখ্যাত হয়া যায়। কারণ, বিখ্যাত হওয়ার উপকরণগুলো এখন সস্তা ও সুলভ। যেমন ধরুন, আপনি একটা বক্তব্য রেকর্ড করে এডিট করে আপলোড করলেন। এরপর সেটা বুস্ট করে ভিউ বাড়িয়ে রাতারাতি ফেমাস বক্তা হয়ে গেলেন..।
আরবি ভাষার শিক্ষক মাওলানা মুহিউদ্দীন ফারুকী লিখেছেন, কুরআন হিফজের সময় যারা "হামতাম কাছিরান" পড়ানোর নিয়ত করে তাদের ছাত্ররা অধিকাংশই হিফজ করতে পারে না। অকালে ঝরে যায়। কেউ কেউ হিফজ করলেও তারা আলেম হতে পারে না।
এ বিষয়ে আব্দুল করিম আল মাদানি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, ...‘সাত থেকে বারো বছরের বাচ্চাদেরকে আপনি বিশালকায় আরবী ভাষা কি শিখাবেন ? যেখানে আরবী ভাষা আয়ত্ত করতে বড়দের লেগে যায় তিন থেকে চার বছর, সেখানে বাচ্চাদের তো আরো বেশী লাগার কথা।
অপরদিকে, বাচ্চাদেরকে অনুবাদে আর আরবী গ্রামারে মনযোগ নিবেশেন করালে, এদের কোরান মুখস্থ কবে হবে ? কোর'আন মুখস্থ করা ও ধরে রাখা কি চারটিখানি কথা’ ?
এছাড়া আরো অনেকেই সরব হয়েছেন তার এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে।
এটি/ কেএল