নুরুদ্দীন তাসলিম।।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় একত্রিত হন বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ১৯৬৭ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত টঙ্গী ইজতেমাকেই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গণজমায়েত বলা হয়।
১৯৬৭ সালে শুরু হওয়া বিশ্ব ইজতেমা প্রতি বছর শীতকালীন সময়- ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ২০২১ সালের শীতকালে বাংলাদেশে করোনা মহামারী সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর হয়নি ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা। লাখো আল্লাহ প্রেমীর তাকবির ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত হয়নি টঙ্গীর তুরাগ তীর। টঙ্গীতে বৃহত্তম জুমার নামাজের দৃশ্যও দেখতে পায়নি বিশ্ববাসী।
ইজতেমাহীন একটি বছর পার করার পর এ বছর ( ২০২২ সালের) বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কিনা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রের সাথে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, এখনো বিশ্ব ইজতেমা বিষয়ে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে দায়িত্বশীল মুরব্বিদের পরামর্শক্রমে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে পরবর্তীতে তা জানানো হবে।
এদিকে বিগত বছরগুলোতে দেখা গেছে ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ইজতেমার প্রস্তুতি উপলক্ষে নভেম্বর থেকেই মাদরাসা ছাত্রসহ নানা পেশার মানুষ টঙ্গী ময়দানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করতে আসেন। ডিসেম্বর মাস শুরু হয়ে গেলেও এবছর এখনো এমন কিছু নজরে পড়েনি।
তবে বর্তমানে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে আলমী শুরার ৩ চিল্লার সাথীদের জোড়। আট বিভাগে তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে তিন চিল্লার সাথীদের এ জোড়। তাই এখনো মাঠে কাজ শুরু না হলেও জোড়ের পরে মুরব্বীদের অনুমতি পেলে কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ইজতেমা মাঠ সূত্র।
দীর্ঘ সময় নিয়ে ইজতেমা মাঠ তৈরী হতে দেখা গেছে এতোদিন, ডিসেম্বরে জোড়ের পর ইজতেমার সিদ্ধান্ত হলে এতো অল্প সময়ে মাঠ প্রস্তুত করা কতটা সহজ ব্যাপার হবে? – এমন প্রশ্নের জবাবে মাঠ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে মাত্র এক সপ্তাহে পুরো মাঠ প্রস্তুত হয়েছে, এমন পরিস্থিতিও দেখেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে ইজতেমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলে মাঠ প্রস্তুত করতে বেগ পেতে হবে না বলে জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষে ২০২১ সালের ইজতেমার (৮ থেকে ১০ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২য় পর্ব) তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পরবর্তীতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর হয়নি ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা। স্বাস্থ্যবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখে গত বছর ১৮ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩ চিল্লার সাথীদের জোড়।
আরো পড়ুন: ৩ ধাপে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে চিল্লার সাথীদের জোড়
কেএল/এএ