যুবায়ের বিন আখতারুজ্জামান।।
ইতিহাসকে যেমন সহজলভ্য করা উচিৎ নয়, ঠিক তেমনই দুর্লভও করা উচিৎ নয়। সহজলভ্য বলতে বুঝাচ্ছি, হুটহাট করে যার-তার বয়ান কোনোরূপ বিচার বিবেচনা না করে বর্ণনা করা। আর দুর্লভ বলতে বুঝাচ্ছি, স্রেফ নিজের মতের সাথে না মেলার কারণে সত্যটাকে এড়িয়ে যাওয়া। এখানে একটা এশকাল থাকতে পারে যে, ইতিহাসের ব্যাপারে মত কি? সবাই কি ইতিহাসের ব্যাপারে মত দিতে পারে? আসলে আম আলাপে এ ধরনের এশকালের জবাব এনে তাত্ত্বিক করতে চাই না। এখানে মত বলতে বুঝাচ্ছি যে, কোনো একজন বাদশাহ, ইতিহাসের নায়ক বা সাম্রাজ্যের ব্যাপারে আপনার অত্যন্ত ভালো ধারণা থাকার পরে বিশুদ্ধ সনদে কোনো ত্রুটি পাওয়া গেলে সেটা অস্বীকার করার মন-মানসিকতা।
ইতিহাস মুসলিম উম্মাহর একটি অপরিহার্য বিষয়। হাদিসের বিশুদ্ধতা বজায় রাখার জন্য গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী ইতিহাসের মূলনীতি। রিজাল শাস্ত্র নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই ইসলামি ইতিহাসের বিশুদ্ধতার বজায় রাখার ব্যাপারে জোর তাগিদ দেখা যায়। এমনকি কুরআন ও হাদিস থেকেও বিশাল আকারে ইতিহাসের মূলনীতি বেরিয়ে আসে। এগুলো স্রেফ শাস্ত্রে না রেখে যদি আমরা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি তাহলে সবকিছুই খুব সহজে ধরা পড়বে আমাদের চোখে।
মুসলিমদের ইতিহাসের চর্চার পিছনে একটা উদ্দেশ্য থাকা দরকার। আল্লাহ তাআলা এ ব্যাপারে বহুবার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি মুসলিম হিসেবে এটা আপনার না জানা থাকে তাহলে ‘মুসলিম ইতিহাসবিদ’ হিসেবে নিজেকে জাহের না করাই উত্তম। একজন সেক্যুলার হিসেবে প্রকাশ করুন নিজেকে। সম্মান পাবেন। যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্য মোডারেট মুসলিম হবেন।
ইসলামের ইতিহাস পাঠের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী। পাঠ এবং বর্ণনা উভয় ক্ষেত্রেই। কারণ, একটা শ্রেণী প্রতিনিয়ত ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করে চলছে। তাই আপনার-আমার কাছে উপস্থাপিত সকল তথ্য সত্য নাও হতে পারে। আদতে আমলের(শিক্ষা) নিয়ত থাকলে বিশুদ্ধতা যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। আর যদি আমলের নিয়ত না থাকে, তাহলে ইতিহাস একটা গাল-গল্প হয়ে উঠবে।...
আরো পড়ুন:: ঈদে মিলাদুন নবী পালনের নববী পদ্ধতি
এনটি