শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

রাগের মাথায় দেওয়া তালাক কি পতিত হবে না?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নুরুদ্দীন তাসলিম।।

এক সাথে তিন বার তালাক দিলে তালাক হবে না, রাগের মাথায় তালাক দিলেও স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হবেন না- প্রায় সময় এমন দাবি উঠতে দেখা যায় বিভিন্ন মহল থেকে। দেশের অন্যতম ফিকহ বিশেষজ্ঞ, রাজধানীর শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলছেন বাস্তবতা ও শরীয়তে ইসলামি বলছে ভিন্ন কথা। তার মতে তিনবার তালাক উচ্চারণ করলে, রাগের মাথায় তালাক দিলেও তালঅক হয়ে যাবে।

তাহলে তালাক নিয়ে এমন দাবি ওঠে কেন প্রায় সময়?

মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলছেন,  ১৯৬৮ সালে আইয়ুব খানের শাসনামলে যখন পারিবারিক ‘ল’ গঠিত হয় তখন সেখানে বিয়ে, তালাক, ইদ্দত বিষয়ে  ইসলামবিরোধী বেশকিছু আইন পাস হয়। সে সময় বিখ্যাত বুজুর্গ আলেম মাওলানা এহতেশামুল হক থানভী রহ.বিষয়টির প্রচন্ড বিরোধিতা করেছিলেন, তার বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসলামবিরোধী আইনগুলো পাশ হয়েছিল।

মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের ভাষায়, সে সময় পাস হওয়া ইসলাম বিরোধী আইনগুলো বর্তমান সময়েও আইনের বইগুলোতে বিদ্যমান, এর মাধ্যমেই এখনও কোর্টে জেরা করে থাকেন আইনজীবীরা।

এসব আইন ও ধারা আমি নিজেও পড়েছি উল্লেখ করে মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ বলেন, এতে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী যথেষ্ট ধারা উপস্থিত। তালাক বিষয়ে ইসলাম বিরোধী ধারার মধ্যে অন্যতম হল, রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হবে না, আরেকটি বিষয় হচ্ছে একসাথে তিন তালাক দিলে তালাক হবে না, সেখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ আছে; স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তালাক হলে এই বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যানের দরবার পর্যন্ত গড়াবে। চেয়ারম্যান যদি  এর মীমাংসা করে দিতে পারেন তাহলে তালাক বাতিল হিসেবে গণ্য হবে, স্বামী-স্ত্রী পুনরায় সংসার করতে পারবেন হিল্লা বিয়ে ছাড়া।

তিনি বলছেন, এসব ব্রিটিশ উপনিবেশ আমলে ইংরেজদের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়া খ্রিষ্টান পারিবারিক ‘ল‌’।উপনিবেশ আমলের সেই আইনগুলোকে মুসলিম পারিবারিক আইন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘মুফতি ওয়াক্কাস রহ যখন মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তিনি এসব সংশোধনের কিছু কাজ শুরু করেছিলেন তবে তার মন্ত্রিত্বের সময়কালের স্থায়িত্ব বেশি দিন না হওয়ায় সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয়নি’ বলে জানান মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ।

মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেছেন, রাগের মাথায় তালাক দিলে তালাক হবে না; এটা উপনিবেশ আমলে ইংরেজদের চাপিয়ে দেওয়া‘ ল’।

তিনি বলেছেন, ‘মানুষ সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় কখনো তালাক দেয় না, তালাক রাগের মাথায় দিয়ে থাকে  তাই এসব খোড়া অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়’।

আরো পড়ুন: হিল্লা বিয়ে নিয়ে আপত্তি ও জবাব

এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ