মোস্তফা ওয়াদুদ
নিউজরুম এডিটর
তাকমিলের ফলাফলে দুজনের সমান নাম্বার, একজন প্রথম, অন্যজন নেই কেনো? এ শিরোনামে আজ সকালে আওয়ার ইসলামে প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে কথা বলেছেন হাইয়াতুল উলইয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা অসিউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পেরেছি, শ্রীমঙ্গলের জামিয়া ইসলামিয়া (বালক-বালিকা) মহিলা মাদরাসার ছাত্রী তাজকিয়া সুলতানা চৌধুরী এর আগেও বেফাক বোর্ডের অধীনে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা দিয়েছেন। ওই পরীক্ষায় তিনি জায়্যিদ জিদ্দান নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। যা আমরা বেফাকের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছি। এর প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। চলতি বছর তিনি পুনরায় হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় তাকমিল পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপর মেধা তালিকায় প্রথম স্থানের যোগ্য নাম্বার লাভ করেন তিনি।
মাওলানা অসিউর রহমান বলেন, আমাদের পরীক্ষার গঠনতন্ত্রে রয়েছে, যারা এর আগে বেফাক বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তারা হাইয়া বোর্ড গঠনের পাঁচ বছরের ভেতরে পরীক্ষায় পুনরায় অংশ নিলে অনিয়মিত হিসেবে বিবেচিত হবে। আর অনিয়মিত কাউকে মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয় না। এটা আমাদের পরীক্ষার গঠনতন্ত্রে রয়েছে। তাই তাকে মেধা তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি।
এর আগে গতকাল (১৮ জুলাই) রবিবার আল-হাইআতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের ১৪৪২ হিজরি/২০২১ খ্রিস্টাব্দের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফলে সারাদেশে মহিলা শাখায় প্রথম হয়েছেন মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা, ৫৩, গলগোণ্ডা মোমেনশাহীর ছাত্রী মাসুমা। তার মোট প্রাপ্ত নাম্বার ৯০৩। সমপরিমাণ নাম্বার পেয়েছেন শ্রীমঙ্গল জেলার জামিয়া ইসলামিয়া (বালক-বালিকা) মহিলা মাদরাসার ছাত্রী তাজকিয়া সুলতানা চৌধুরী। তারও প্রাপ্ত নাম্বার ৯০৩।
তবে মেধাতালিকায় মোমেনশাহীর মাসুমার নাম প্রথমে থাকলেও নাম ছিলো না শ্রীমঙ্গলের তাজকিয়ার। এ বিষয়ে আওয়ার ইসলাম প্রতিবেদন করলে উপরে বর্ণিত এসব বিষয় জানান কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গতকাল (১৮ জুলাই) রবিবার ফলাফল ঘোষণা করেন হাইআতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা মাহমুদুল হাসান। ঘোষিত ফলাফলে পরীক্ষার গড় পাসের হার ৭৩.২৫। ছাত্রদের পাশের হার ৭৯.৪২। ছাত্রীদের পাশের হার ৬৩.৬৩।
এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২,৩৪২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬,২৩২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১১,৩৮০ জন এবং ছাত্রী ৪,৮৫২ জন। পাসের হার ছাত্র ৮২.১০, ছাত্রী ৫৭.২১। মুমতায (স্টার মার্ক) পেয়েছে ছাত্র ৯৩৩ জন এবং ছাত্রী ৫৬ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৩,৫০০ জন, ছাত্রী ৭৭১ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ৪,৮৯১ জন, ছাত্রী ২,২৮১ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ছাত্র ২,০৫৬ জন, ছাত্রী ১,৭৪৪ জন।
এমডব্লিউ/