সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছে খাশোগির খুনিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। প্রায় তিন বছর আগে তাকে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এখনও পর্যন্ত তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে খাশোগি হত্যায় অংশ নেয়া চারজন যুক্তরাষ্ট্রে আধাসামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তাকে হত্যার এক বছর আগে মার্কিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ নেয় খাশোগির খুনিরা। প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অনুমতিও ছিল তাদের।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ দেয়া টায়ার ওয়ান গ্রুপ নামের কোম্পানিটি মূলত সৌদি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে। যদিও নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি টায়ার ওয়ান গ্রুপ।

এদিকে হত্যাকারীদের প্রশিক্ষণ নেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অনুমতি থাকলেও প্রশিক্ষণদাতাদের মধ্যে কেউ মার্কিন নাগরিক ছিল কি-না তা জানা যায়নি।

বারাক ওবামার আমলে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় টায়ার ওয়ান গ্রুপ। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আশার প্রথম এক বছর পর্যন্ত ওই কোম্পানি তাদের আধাসামরিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

টায়ার ওয়ান গ্রুপের কর্মকর্তা লুইস ব্রেমার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, জামাল খাশোগি হত্যায় জড়িত চারজনই ২০১৭ সালে ওই কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ নেয়েছিল। তবে এদের মধ্যে দু'জন ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যেও একবার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। কনস্যুলেট থেকে তিনি আর বের হননি। পরে জানা যায়, কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। যদিও তা প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন প্রিন্স সালমান।

জামাল খাশোগি সৌদির রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ছিলেন। নিয়মিত কলাম লিখতেন ওয়াশিংটন পোস্টে। খাশোগি হত্যার দায়ে সৌদির একটি আদালত দেশটির পাঁচ নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে তাদের সাজা কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস, আল জাজিরা।

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ