সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

জাতিসংঘে মিয়ানমার ইস্যুতে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিল বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পাস হওয়া প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত ছিল বাংলাদেশ।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়ে শুক্রবার ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১৯টি। বিপক্ষে একটি। আর ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশ, রাশিয়া, চীন, ভারত, নেপাল, ভুটান, লাওস, থাইল্যান্ডসহ ৩৬টি দেশ।

বিবিসি বাংলা বলছে, আইনগতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক না হলেও, রাজনৈতিকভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ। এই ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ অংশ না নেওয়ায় বিশেষ করে মিয়ানমারের বিপক্ষে ভোট না দেওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

এদিকে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ব্যাখ্যা করেছেন কেন বাংলাদেশে এই প্রস্তাবে পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেয়নি।

শনিবার বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই প্রস্তাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না থাকায় বাংলাদেশে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘের ওই প্রস্তাবে দ্রুত রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদে এবং স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ তৈরির কোনো প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তেমনি রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো সুপারিশ বা পদক্ষেপ নেই।

প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এসব মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো এই প্রস্তাবে না আসায় বাংলাদেশ ওই প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থেকেছে।

বাংলাদেশে বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মিয়ানমারে সংবিধান পুনর্বহালের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার বিষয়ে যেকোনো প্রস্তাব অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদি সেটায় রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ উল্লেখ করা না হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের সংখ্যালঘু নিধনযজ্ঞের পরেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিষয়টি উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমারকে যেমন একপ্রকার দায়মুক্তি দিচ্ছে, তেমনি দেশটির অন্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

বাংলাদেশ আরও বলেছে, যদিও অনেক দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক সহায়তা কোনো সমাধান নয়। এ জন্য রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন এবং সেটা অবশ্যই মিয়ানমারে হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফেরত পাঠাতে যেসব শর্ত পূরণ হওয়া দরকার, তার কোনো অগ্রগতি নেই।

আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর একটি কোর গ্রুপ প্রস্তাবটি চূড়ান্ত করেছে, যেখানে মিয়ানমারের সামরিক নেতারাও অংশ নিয়েছিলেন।

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই সম্মেলনে যে পাঁচ দফা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছিল, সেটাই এসেছে জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে। কিন্তু সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ