রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

আজ বিশ্ব বই-পুস্তক দিবস; বই নির্বাচনে আমাদের করণীয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আশরাফ আলম কাসেমি নদভি

প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল পৃথিবীর ১০০ টির ওপরে দেশে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবশ পালন করা হয়ে থাকে । এদিনে বই-পুস্তক কেনা-বেচা ও লেখকদের মূল্যায়ন করা হয় এবং প্রতি বছর কোনো একটি দেশকে কিতাবের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এপর্যন্ত কায়রো, বৈরুত, নয়া দিল্লিসহ বহু দেশের রাজধানী এই স্বীকৃতি পেয়েছে।

১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো কর্তৃক এই দিনটিকে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় ১৬১৬ সালে স্পেনের কেনোলিবা শহরে এই দিনটিতে গোলাব দিয়ে একে অপরকে বরণ করে নিতো । পাঠ করা হতো বহু নাটক উপন্যাস ও ড্রামা সিরিজের বই-পুস্তক । ধীরে ধীরে এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে যায় পুরো ইউরোপে । ইউরোপ থেকেও লোক এসে এখানে বই-পুস্তক পাঠ ও কেনা-বেচায় শরিক হতে থাকে ।

একপর্যায়ে গোলাব নিবেদন ভুলে গিয়ে বই-পুস্তক পাঠ ও লেখকদের মূল্যায়ন এবং বই কেনা-বেচা পৌঁছে যায় চূড়ান্ত সীমায়। সেই সূত্র ধরে জাতিসংঘের ইউনেস্কো এই সংস্কৃতিকে একটি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সারা পৃথিবীতে পালন করে থাকে বিশ্ব বই-পুস্তক ও অনুলিপি দিবস।

আজকের এই দিনে বই প্রেমি সকল ভাই বোন ও বন্ধুকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বই পড়ার ক্ষেত্রে তার নির্বাচন হলো মুখ্য বিষয়। আমরা বই-পুস্তক পাঠ করবো নিজেদের উন্নতির জন্য, ভবিষ্যত আলোকিত করার উদ্দেশ্যে । অবশ্যই বিজ্ঞজনদের সাজেশন অনুযায়ী বই পড়বো । এমন যেন না হয় দুষ্ট বই আমার চরিত্র হরণ করে ফেলে । জীবন আলোকিত করতে ও উভয় জগতে সফল হতে ইসলামী বই-পুস্তকের বিকল্প নেই । তবে অবশ্যই তা ভালো লেখক ও প্রকাশক দেখে সংগ্রহ করতে হবে । স্রোতে ভেসে বই পাঠ সাময়িক আনন্দ অবশ্যই দিবে কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি মোটিভেশন থেকে বঞ্ছিত রাখবে ।

বরকতময় এই রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা, নবী জীবনি পাঠ করা যায়। রমজান পরবর্তী সময়ে সাইয়েদ আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী রহ. এর ইসলামের পরিচয়সহ বাংলায় অনুদিত ও মৌলিক সকল বই, জীবনকে উপভোগ করুন, হতাশ হবেন না, হযরত থানবী রহ. এর তারবিয়াতুস সালিক ও বেহেশজী জেওরসহ সকল বই , মাওলানা মানজুর নোমানী রহ. এর বরকতময় রমজান, সাইয়েদ সুলাইমান নদভী’র সীরাতে আয়েশা, সীরাতুন নবী সা.সহ সকল বই।

সমসাময়িক আরব লেখকদের মাঝে ড. আবদুর রহমান রাফাত বাশা’র সাহাবীদের ইমানদীপ্ত জীবন ও তাবেয়ীদের ইমানদীপ্ত জীবন, সাইয়েদ কুতুব এর ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম, মুহাম্মদ আল গাজালি, আলি তানতাবি, মোস্তফা লুতফি মানফুলুতিসহ প্রভৃতি লেখকদের বই পড়া ও সংগ্রহ করতে পারি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ