সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

অনুপম কুমার থেকে মুজতাবা রাহমান: এক জাবি শিক্ষার্থীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের গল্প

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। সরকারি এক হলফনামায় স্বাক্ষর করে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। আগে তার নাম ছিল অনুপম কুমার পাল। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি নাম নিয়েছেন মুজতাবা রাহমান তাহমিদ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৪২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।

হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচণায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। ইসলামের সকল নিয়ম-কানুন জেনে বুঝে এক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন, তার পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন এবং তার প্রেরিত রাসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমি ইসলামের সকল বিধিবিধান পালন করছি।’

হলফনামায় নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনুপ কুমার পাল এর পরিবর্তে এখন থেকে মুজতবা রাহমান তাহমিদ সংশোধন করে নেব এবং এ নামেই এখন থেকে সব জায়গায় পরিচিত হব।’

তাহমিদ তার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রে নাম পরিবর্তনের জন্য জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, ‘সকল প্রশংসা মহান স্রষ্টার যিনি আমাকে এই সত্য উপলব্ধি করিয়েছেন। সবার ভাগ্যে এই সত্যের সন্ধান জোটে না, তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। ২০০৯ সাল থেকে ইসলামের উপর বিশ্বাসের শুরু। এই বিশ্বাসের পেছনে পৃথিবীর কেউ বা কোন কিছু দায়ী না। কেউ আমাকে ওরকম ভাবে ইসলামের দাওয়াত দেয়নি। স্রষ্টার কৃপায় নিজের বুদ্ধি, বিবেক দিয়ে পড়ে, জেনে, বুঝেই এগিয়েছি। পথে অনেক বাধাবিপত্তি ছিল। আল্লাহর সাহায্যে একটার পর একটা পাড়ি দিয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’

তিনি আরও লিখেন, ‘২০১০ সালে যখন প্রকাশ করলাম, তখন দেখলাম ভুল সময়ের শিকার হয়েছি। তখন সাবালক ছিলাম না, তাই আমার কথার দাম ছিল না। তাই পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে চুপ হয়ে রইলাম। কিন্ত এতটা দীর্ঘ সময় যে কেটে যাবে, ভাবতে পারিনি। যাইহোক এতটা দীর্ঘ সময় ধরে এক চুল পরিমাণ বিশ্বাসের ঘাটতি হয়নি, এক মুহূর্তের জন্যও না। এই বিশ্বাস নিয়েই আজীবন থাকতে চাই।’

‘জানি না সামনের পথটা কেমন কঠিন হবে। এখনও বেকার, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হইনি পুরোপুরি। নিশ্চয়ই আল্লাহ সাহায্য করবেন। আর জানি পাশে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পাব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আজীবন এই বিশ্বাসের উপর অটল থাকতে পারি আর এই বিশ্বাসের প্রচার করতে পারি।’

এনটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ