শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১৬ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘সরকারের দ্বীতীয় ইনিংসে দেশের জনগণ জুলাই বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চায়’ ধর্ম উপদেষ্টার নতুন বই ইসলামী বিধিবিধানের মোড়ক উন্মোচন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম এখন ‘জাতীয় স্টেডিয়াম’ ফরিদপুরে বরযাত্রীবাহী বাস খাদে: নিহত-১, আহত-৩৫  দুর্গাপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুসের দাফন সম্পন্ন  সংলাপের মাধ্যমে সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু : প্রধান উপদেষ্টা চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা আটক, ছাড়িয়ে নিতে সড়ক অবরোধ প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আল আযহারের সিলেবাসে আত্মপ্রকাশ করলো দেশের প্রথম পূর্নাঙ্গ ই-লার্নিং প্লাটফর্ম হজের বিমান ভাড়া নির্ধারিত টাকার বেশি নিলে ব্যবস্থা : ধর্ম উপদেষ্টা

তুরস্কের মুসলিম স্থাপত্যের প্রতি মুগ্ধ হয়ে ব্রিটিশ তরুণীর ইসলাম গ্রহণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তুরস্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন এক ব্রিটিশ নারী। সেখানে সুন্দর সুন্দর মুসলিম স্থাপত্য তার মনে দাগ কাটে। বিশেষ করে ইস্তাম্বুলের ব্লু মস্ক বা নীল মসজিদ, যেটা সুলতান আহমেত মসজিদ নামেও পরিচিত। দুই বছর আগে তুরস্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন ২৪ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ তরুণী।

সেখান থেকে মুগ্ধতা নিয়ে ফেরেন আয়শা রোজালি নামের এই তরুণী। এরপর ইসলাম নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং মুসলিম বিশ্বাস প্রচারে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন আয়শা। আয়শা বলেন, অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু ইস্তাম্বুলে ইসলামকে খুঁজে পাওয়ার পর সব বদলে যায় তার।

আয়শা বলেন, মুসলিম হওয়ার আগে আমার কোনো ধর্ম ছিল না। যদিও আমি বিশ্বাস করতাম যে একজন ঈশ্বর আছে। আমার মনে আছে যে ছোটবেলায় আমি সবসময় ঈশ্বরের সঙ্গে কথা বলতাম। আমার বাবা-মা ধার্মিক ছিলেন না। তাই ইসলাম গ্রহণের আগে আমি কোনো ধর্মীয় ব্যক্তি জানতাম না।

আয়শা বলেন, যখন আমি তুরস্ক যাই, তখন ধর্ম খোঁজার উদ্দেশ্য নিয়ে যাইনি। আমি গুগলে যাই এবং নীল মসজিদের ব্যাপারে জানতে পারি। তখন চিন্তা করি যে, আমি তো মসজিদটি ঘুরে দেখতে পারি। তবে মনে মনে খুব ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ পশ্চিমা মিডিয়ায় ‍মুসলমানদের ব্যাপারে ভালো কিছু শুনিনি।

ইসলামের ব্যাপারে আমার এ ধরনের মনোভাবই ছিল। মসজিদে যাওয়ার আগে একটি দোকান থেকে হিজাব কিনি। কারণ আমি শ্রদ্ধাশীল হতে চেয়েছিলাম। কাউকে আমার চুলের কারণে আঘাত দিতে চাইনি। আমি ভেবেছিলাম মানুষজন রেগে যাবে হয়তো। তাই আমি মসজিদে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হিজাব কিনি।

মসজিদে প্রবেশের পর এক নির্মল প্রশান্তি ঘিরে ধরে আয়শাকে। সেখান থেকে হোটেলে ফেরার পথে একটি কুরআন নিয়ে আসেন তিনি। ইংরেজি অনুবাদ করা সেই কুরআন ব্রিটেনেও নিয়ে যান আয়শা। দুই মাস সময় নিয়ে পুরো কুরআন পড়ে এবং ইসলাম নিয়ে গবেষণা করে শেষপর্যন্ত মুসলিম হন তিনি।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ