রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

২৫ বছর ধরে মসজিদে কোরআনের ক্যালিগ্রাফি করছেন হিন্দু চিত্রশিল্পী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভারতের হয়াদারাবাদ প্রদেশের চিত্রশিল্পী অনিল কুমার চৌহান। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও আরবি ও উর্দু ভাষায় ক্যালিগ্রাফি করেন। এতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দবোধ করেন।

দ্য সিয়াসাত ডেইলিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত ২৫ বছর যাবত মসজিদের দেয়ালে ক্যালিগ্রাফি করছেন। শৈল্পিক রংতুলিতে পবিত্র কোরআনের আয়াত অঙ্কন করছেন। এটি তিনি নিজের পেশা হিসেবেও নির্ধারণ করে নিয়েছেন।

অনিল প্রথম দিকে দোকানের সাইনবোর্ড তৈরি করতেন। তাতে উর্দুতে আঁকাযোখা করতেন। পরবর্তীতে ক্যালিগ্রাফিতে আগ্রহবোধ করেন। তাই এক্ষেত্রে ভালো কিছু করার জন্য উর্দু ভাষা রপ্ত করেছেন।

সময়ের পালাক্রমে অনিল কুমার মসজিদের দেয়ালে আঁকাআঁকি শুরু করেন। তার শিল্পকর্ম ও নিপুণ দক্ষতার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে নানা দিকে। কোরআনের আয়াতে তৈরি তার শৈল্পিকতায় মুগ্ধ হয়― দর্শনার্থী ও অন্যরা।

অনিন্দ্য সুন্দর ক্যালিগ্রাফি ও নান্দনিক শিল্পলিপিতে অনিল খ্যাতি লাভ করতে শুরু করেন। এভাবে মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে কোরআনের আয়াত আঁকার যাত্রা শুরু হয় তার। অনুরোধ আসতে থাকে বিভিন্ন দিক থেকে।

এই প্রসঙ্গে অনিল কুমার সংবাদমাধ্যমকে বলেন প্রথম দিকে আমি উর্দু বুঝতাম না। বলতেও পারতাম না। তাই গ্রাহক এলে তাকে বলতাম উর্দু বাক্য লিখে দিতে। যেন নির্ভুলভাবে সাইনবোর্ডে তা আঁকতে পারি। এরপর উর্দু শিখতে শুরু করি। এখন আমি ভালোভাবে উর্দু লিখতে ও বলতে পারি।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার আঁকা ক্যালিগ্রাফিতে একজন মুগ্ধ হয়। পরে তিনি মসজিদের দেওয়ালে কোরআনের আয়াত ক্যালিগ্রাফি করার অনুরোধ করেন। গত ২৫ বছর ধরে আমি বিভিন্ন মসজিদে ক্যালিগ্রাফি করে যাচ্ছি। হায়াদারাবাদের অনেক মসজিদেই এখন আমার ক্যালিগ্রাফি আছে।

হিন্দু হয়ে মসজিদের দেয়ালে ক্যালিগ্রাফি করায়― প্রথম দিকে কিছু কিছু অভিযোগ উঠেছিল। তবে হায়দারাবাদের নিজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী সময়ে তাকে এ কাজের অনুমোদন দিয়েছে।

কোরআনের আয়াত ক্যালিগ্রাফি করতে পেরে অনিল চৌহান ভীষণ আনন্দানুভব করেন। এছাড়াও গত তিন দশকে এ পেশায় যুক্ত থেকে তিনি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ