সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

দুই হাত না থাকলেও হাল ছাড়েননি এক প্রতিবন্ধি ফিলিস্তিনি যুবক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইয়াহইয়া বিন আবু বকর নদভী।।

আবু ইউসুফ উমায়রা একজন ফিলিস্তিনি যুবক৷ সে প্রতিবন্ধি৷ ছোটোকাল থেকেই তার হাত পা গুলো বেড়ে উঠেনি৷ কিন্তু তার এই প্রতিবন্ধিত্ব তার পড়ালেখা, উচ্চাভিলাষ ও স্বপ্ন পূরণের পথে অন্তরায় হতে পারেনি৷ সে তার প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জীবনযুদ্ধে টিকে আছে৷ অব্যাহত এগিয়ে চলছে স্বপ্ন পূরণের পথে৷

তবে মজার বিষয় হলো, হাত পা বিহিন এই প্রতিবন্ধি যুবকটি মাত্র অল্পদিনের মধ্যেই মার্শাল আর্ট বিদ্যায় কমলা রঙের বেল্ট অজর্ন করেছে৷ মার্শাল আর্টে সে অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করে ফেলেছে৷ শুধু তাই নয়, একবার সে তার উস্তাদের সাথে ট্রেনিংরতবস্থায় লাঠি খেলায় চমক দেখিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো৷

২৪ বছর বয়সী আবু ইউসুফ উমায়রা বর্তমান ফিলিস্তিনের ‘গাজা’ উপত্যকার ‘আল মাশতাল’ নামক একটি মার্শাল আর্টস ক্লাবে ট্রেনিংরত আছে৷ একবার কেউ তাকে প্রশ্ন করেছিলো- এই পঙ্গুবস্থায় কেন সে এতো কষ্ট করে এসব শিখছে? অথচ কষ্টসাধ্য এই কারাতে শিখা একজন সুস্থ মানুষের জন্য ও অনেক সময় কঠিন এমনকি অসম্ভব হয়ে পড়ে৷ কিন্ত সে কী করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো?

উত্তরে সে বলেছিলো: আমি মার্শাল আর্টস জগতে প্রবেশ করেছি দুটি উদ্দেশ্য৷

—একঃ আমি দেখি মানুষ সাধারণত কোনো বিষয়ে সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার শিকার হলে বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করে হাত গুটিয়ে নিরাশ হয়ে বসে পড়ে৷ কিন্তু আমি তাদের মতো নই৷ আমি প্রমাণ করে বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই যে, প্রতিবন্ধিতা হলো মনের প্রতিবন্ধিতা, দেহের নয়৷ আর অসম্ভব বলতে কিছু নেই৷ পৃথীবিতে সবকিছুই সম্ভব৷ তবে সে জন্য প্রয়োজন দৃঢ় প্রত্যয়, পাহাড় সম হিম্মত, পিপিলিকার মতো নিরবচ্ছিন্ন শ্রম ও মেহনত।

দুই আমি আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শিখতে ক্লাবে ভর্তি হয়েছি৷ এবং আমার স্বপ্ন, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া, এবং তাতে সফলতা অর্জর করা৷

আবু ইউসূফ দুর্দান্তভাবে লাঠি ঘুরানো এবং তা দিয়ে আঘাত করতে পারে৷ যা তার না থাকা অঙ্গের সহায়ক ভূমিকা পালন করে৷
এছাড়াও কীভাবে শক্তিশালী ঘুষি মারতে হয় তাও সে পারে৷ তার শরীর ও বাহু দিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণগুলি ও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রতিহত করতে শিখেছে।

তার কোর্চার( প্রশিক্ষক) হাসান আল-রাহি বলেন, আমার শিক্ষার্থী বিশেষ ইচ্ছা ও হিম্মতের অধিকারী। ইউসুফের বিভিন্ন দক্ষতা দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি৷ এছাড়াও যারা তার চেয়ে কম অক্ষম তাদের জন্য ও সে কাজ করতে পারে।

আবু ইউসূফ উমায়রা গাজার পশ্চিম তীরে একটি শরণার্থী শিবিরে বাস করে৷ এবং সে প্রতিদিন মোটরসাইকেল যোগে রাস্তায় চলাচল করে। গত বছর সে গাজার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়া ও আইন অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছে৷ তথ্যসূত্র: আখবারুল খালিজ আরবি

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ