বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৩ মাঘ ১৪৩১ ।। ৭ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
ট্রাম্পের ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের পরিকল্পনা: রাজনৈতিক বিতর্ক ও আইনি চ্যালেঞ্জ একুশে পদক পাচ্ছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান একুশে পদক পাচ্ছেন ১৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর ভারত থেকে শেখ হাসিনার অবিরাম বিবৃতির কারণেই ভাঙচুর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ধানমন্ডি ৩২-এ ভাঙচুর জনমনে গভীর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ : অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার রোষানলের দায় শেখ হাসিনাকেই বহন করতে হবে: খেলাফত মজলিস বিশ্ব ইজতেমা থেকে তাবলিগে বেরিয়েছে ২হাজার ১৫২ জামাত ভারতকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সম্প্রীতি বার্তা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল

বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে কারা? নবিজী সা. বললেন, তুমি তাদের একজন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিনা হিসাবে জান্নাত পাওয়া মহান আল্লাহর অনন্য নেয়ামতের একটি। যারা সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন, তাদের বর্ণনা এসেছে হাদিসের বর্ণনায়। বিনা হিসাবে কারা জান্নাতে যাবে এবং তাদের আমল কী হবে, এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ এক হাদিস বর্ণনা করেন। তাতে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সামনে বর্ণনা করছিলেন, ‘আমার কাছে সব (নবির) উম্মত পেশ করা হল। আমি দেখলাম, কোনো নবির সঙ্গে কতিপয় (৩ থেকে ৭ জন) অনুসারী রয়েছে। কোনো নবির সঙ্গে এক অথবা দুইজন রয়েছে। আবার কোনো কোনো নবিকে দেখলাম তার সঙ্গে কেউই নেই।

এমন সময় অনেক বড় একটি জামাআত আমার সামনে পেশ করা হল। আমি মনে করলাম, এটিই আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল যে, এটি হল হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর উম্মতের জামাআত। কিন্তু আপনি অন্য দিগন্তের দিকে তাকান।
অতপর আমি অন্য দিগন্তে তাকাতেই আরও বড় একটি জামাআত দেখতে পেলাম। আমাকে বলা হল যে- ‘এটি হল আপনার উম্মত। আর তাদের সঙ্গে রয়েছে এমন ৭০ হাজার ব্যক্তি, যারা বিনা হিসাব ও আজাব ভোগ করা ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’

এ কথা বলেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে নিজ বাসায় প্রবেশ করলেন। আর এদিকে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম ওই সব বিনা হিসাবে জান্নাতিদের ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা শুরু করে দেয়। কেউ কেউ বলল, ‘সম্ভবত ওইসব লোকেরা হল তারা, যারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ। কিছু লোক বলল, বরং সম্ভবত এরা হল তারা, যারা ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেনি। এভাবে আরও অনেকে অনেক কিছু বলল। এর কিছুক্ষণ পর
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে বের হয়ে এসে জানতে চাইলেন, তোমরা কী ব্যাপারে আলোচনা করছো? সাহাবায়ে কেরাম জানালেন, বিনা হিসাবে যারা জান্নাতে যাবেন; তারা কারা? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল।লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তারা হল সেইসব ব্যক্তি, ১. যারা ঝাঁড়ফুঁক করে না এবং ঝাঁড়ফুঁক করায় না। ২. আর কোনো জিনিসকে অশুভ লক্ষণ বলেও মনে করেন না। ৩. বরং তারা শুধুই মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন।

এ কথাগুলো শুনেই হজরত উক্কাশাহ ইবনে মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহু উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন- ‘(হে আল্লাহর রাসুল!) আপনি আমার জন্য দোয়া করুন, যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে তাদের দলভুক্ত করে দেন! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সঙ্গে সঙ্গেই) বললেন, তুমি তাদের মধ্যে একজন।’

অতপর আরও এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আপনি আমার জন্যও দোয়া করুন, যেন আল্লাহ আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘উক্কাশাহ (এ ব্যাপারে) তোমার চেয়ে অগ্রগামী।’ (বুখারি ও মুসলিম)

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ