সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারী কমিশনের প্রস্তাবনা, অসভ্যতা প্রসারের নীল নকশা: নেজামে ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নারী সমাজের জন্য চরম অবমাননাকর’

বাড়ানো হচ্ছে কারিগরি শিক্ষা: বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স থাকছে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তুলে দেয়া হচ্ছে দেশের বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স কোর্স। তবে নতুন করে এসব প্রতিষ্ঠানে চালু করা হবে কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন কোর্স। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমনটাই আভাস দিয়েছেন গতকালকের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। কারণ হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। আমরা আর সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। তবে ডিগ্রি পাস কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্স করতে করার চিন্তা রয়েছে সরকারের।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বেসরকারি অনার্স কলেজে লেখাপড়া করে চাকরি পান না অনেকে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়, যারা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। অভিভাবকদের জন্যও এটি সুখকর নয়। সন্তানকে পড়ালেন, তাদের একটি চাকরির প্রত্যাশা থাকে, চাকরি হয় না। কোনও কিছু করবে সেটির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা তারা অর্জন করতে পারে না। সেসব নানা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে ৩১৫টি বেসরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এসব কলেজের ডিগ্রি স্তরের শিক্ষকরা বেতন-ভাতার অন্তর্ভূক্ত হলেও অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ে কোন সুযোগ সুবিধা পান না। ১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি স্তর পর্যন্ত পরিচালিত এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স চালূর অনুমোদন দেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।

এ কারণেই অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকের পদ কলেজগুলোর জনবল কাঠামোয় স্থান পায়নি। ফলে খুব বেশি বাড়তি সুবিধা পায়নি এ স্তরের শিক্ষকরা। এমপিওভুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন সময় দাবি-দাওয়া জানিয়ে আসলেও তার সুরাহা হয়নি। এসকল শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও নানা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে বলে মন্ত্রী জানান।

তাছাড়া দেশে কারিগরি শিক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন । দেশে-বিদেশে এর চাহিদা ও মূল্য আছে। দেশের যুব সমাজ এখনও বিদেশমুখি। কারিগরি শিক্ষা থাকলে বিদেশে এর প্রয়োগ করে সহজ পরিশ্রমে বেশী আয়ের সুযোগ পাবে। দেশেও প্রায় দেখা যায় হাসপাতালে অনেক যন্ত্র মেরামতের অভাবে অকেজো পড়ে আছে। আমার ধারণা করা হয় কারিগরের স্বল্পতাই এর জন্য দায়ী । টেকনিক্যাল শিক্ষা থাকলে চাকরি না করলেও বেকার থাকবে না শিক্ষিত যুবক। দেশের উন্নতির সঙ্গে চাহিদাও বাড়বে কারিগরি শিক্ষিতদের।এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকমহল।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ