সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

ব্রণ সমস্যা সমাধানে আয়ুর্বেদিক উপাদান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ব্রণ শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন যাদের কখনো ব্রণের অভিজ্ঞতা হয়নি। অনেকেই বংশগত অথবা হরমোনজনিত সমস্যাকেই ব্রণের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। ব্রণ খুব মারাত্মক জটিল সমস্যা না হলেও অত্যাধিক ব্রণ ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য অনেকটাই ম্লান করে দেয়।

ব্রণ সারাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। আয়ুর্বেদিক উপাদান ব্যবহার করেও আপনি ব্রণ তাড়াতে পারেন। ব্রণ শুকানোর পাশাপাশি দূর হবে দাগছোপও।

তুলসি-হলুদ: এই দুটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিন ব্রণের ওষুধ। কাঁচা হলুদ দু’চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বাটুন।

তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন। প্রতিদিন তিনবার লাগাতে হবে। সারাদিনের জন্য একবারে বানিয়ে কৌটায় ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।

নিমপাতা-গোলাপজল: নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে পানিতে মিনিট দুয়েক ফোটান। তারপর পানি থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন।

এবার পাতা বাটায় দু’ চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণের উপরে লাগিয়ে শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দ্রুত শুকাবে, ব্যথাও কমবে।

মধু: নানা আয়ুর্বেদিক ওষুধে মধুর ব্যবহার প্রচলিত। নানারকম ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করতে পারে মধু। এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলা ডুবিয়ে ব্রণের উপর লাগিয়ে রেখে দিন। আধা ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে কয়েকবার লাগালেই ব্রণের দাপট কমতে বাধ্য।

চন্দন: আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা, কাটাছেঁড়া কমাতে চন্দন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে তাতে চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিন। না থাকলে চন্দনগুঁড়াও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ পানিতে চন্দনগুঁড়া গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণের উপরে লাগিয়ে রাখুন। সঙ্গে সঙ্গে শীতলতার অনুভূতি হবে। এরপর শুকোতে দিন। শুকিয়ে টান ধরলে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

লেবু আর পানি: লেবুর ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে দারুণ ভালো কাজ করে। দুটো পাতিলেবুর রস বের করে নিন। এই রসে দু’চামচ পানি মেশান। মিশ্রণে তুলা ভিজিয়ে ব্রণের উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে। তবে সেনসিটিভ ত্বক হলে লেবুর রস এড়িয়ে চলাই ভালো।

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ