আওয়ার ইসলাম: অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ কথিত ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে ‘বিদেশি অর্থে নিয়োগকৃত’ দেশটির বেশ কিছু ইমামকে বহিষ্কার এবং কিছু মসজিদ বন্ধ করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন শুক্রবার এক টুইট পোস্টে অস্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
টুইট পোস্টে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রিয়া যে খোঁড়া অজুহাতে সাতটি মসজিদ বন্ধ করার এবং ইমামদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইসলামবিরোধী, বর্ণবাদী এবং বৈষম্যমূলক।’ তিনি ভিয়েনার বিরুদ্ধে ‘আদর্শিক অভিযোগ অনুশীলনে’র অভিযোগ এনে বলেন, এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ‘ইসলামফোবিয়া (ইসলামভীতি) ও বর্ণবাদকে স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা’ যেকোনো পরিস্থিতিতেই প্রত্যাখ্যান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার জন নিহত হয়। আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে।
এর পরই দেশটির চ্যান্সেলর মসজিদ বন্ধ এবং ইমামদের বহিষ্কার করার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া দেশটিতে পর্দা করার ওপরেও নানা বিধিনিষেধ চলছে। রাজনৈতিক ইসলামকে (যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী শাসনের কথা বলে) ইউরোপের জন্য হুমকি বলেও উল্লেখ করেন সেবাস্তিয়ান। এ ছাড়া দেশটিতে থাকা তুর্কি মুসলিমদের একটি গ্রুপকে সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। রুশ বার্তা সংস্থা স্পুৎনিক এক প্রতিবেদনে বলেছে, বর্তমানে এক লাখের মতো তুর্কি নাগরিক অস্ট্রিয়ায় বসবাস করছেন।
-এটি