সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

টাইফয়েড জ্বর: কারণ, উপসর্গ, চিকিৎসা, প্রতিকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ডা. মুহাম্মদ ইব্রাহিম মাসুম বিল্লাহ।।

টাইফয়েড জ্বর হচ্ছে এক প্রকার পানি বাহিত বা দূষিত খাবার অথবা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ছড়ানো একটি রোগ।

কেন হয়?

সালমোনেলা টাইফি নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া যা একজন টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর মল/ পায়খানা থেকে পানিতে মিশে পানিকে দুষিত করে, এই দুষিত পানি যদি কারো খাবারে মিশে পেটে যায়, তাহলে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে তার টাইফয়েড হবে, এমনকি যদি কোনো টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী পায়খানার পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধৌত না করে, এবং সে নিজ হাতে কারো জন্য খাবার তৈরি করে, তাহলে তার ও টাইফয়েড হতে পারে এই প্রক্রিয়ায় ট্রান্সমিশন কে faeco oral rout transmissions বলে।

উপসর্গ:

টাইফয়েড জ্বর হলে এই জ্বর সারাক্ষণ থাকে, এইটা এমন নয় যে, সকালে আসবে বিকালে চলে যাবে, বরং এইটা একটা ধারাবাহিক সময় ব্যাপি থাকে।

জ্বর সাধারণত ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। খাবার রুচি থাকেনা। মাইল্ড তথা সামান্য পরিমান মাথা ব্যাথা থাকে। জ্বরের আগে পরে ডায়েরিয়া হতে পারে। জ্বরের ৫-৬ দিন পরে শরীরে গোলাপী বর্ণের দাগ দেখা দিতে পারে। অত্যাধিক পরিমান দূর্বলতা অনুভব হয়।

জ্বরের সাথে সাধারণত সর্দি কাশি থাকেনা। প্যারাসিটামল খেলে চলে যায়, তবে ঘন্টা দুয়েক পর আবার আসে। টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত কাপুনি থাকেনা

চিকিৎসা:

উপরোক্ত লক্ষন থাকলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খাওয়া, জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল জাতীয় সাপজিটরি নেওয়া।

এন্টিবায়োটিক সেফিক্সিম এজিথ্রোমাইসিন সেফট্রিয়াক্সন ইত্যাদি জাতীয় ওষুধ মুখে অথবা শিরা পথে ব্যবহার করা। পানি ও তরল খাবার বেশি গ্রহন করা।

প্রতিরোধ

খোলা পরিবেশের খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা। খাবার আগে ভালোভাবে হাত ধৌত করা। রাস্তার আশেপাশের খাবার গ্রহণ না করা, কারণ এইসব খাবারে বেশিরভাগ দূষিত পানি ব্যবহার হয়, যাতে অনেক মলমূত্র মিশ্রিত থাকে এবং যা সালমোনেলার প্রজনণ কেন্দ্র।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা। টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীকে টয়লেট টিস্যু+পানি+সাবান ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া। টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী দিয়ে কোনো খাবার পরিবেশন করা থেকে বিরত থাকবে। প্রয়োজনে ভেক্সিন নেওয়া।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ