রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের সুফল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু তালহা তোফায়েল ।।

ইমানের ৬টি রুকনের মধ্যে ৬ষ্ঠ রুকন হলো "কদর" বা তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। এটি মানুষের অন্তরাত্মার মূল প্রেরণাদাতা, জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে শরিয়াহ পরিপালনের প্রধান অনুপ্রেরণাদানকারী। কদরের যেসব বিষয় সর্বপ্রথম আমাদের ভেতর জেগে উঠে তা হলো, রিযিক ও মাউত।

আমরা ইমান রাখি মানুষের কদর প্রমাণিত ও সুনির্ধারিত। কোনো ব্যক্তি তার পূর্ণ রিযিক গ্রহণ না করে এবং হায়াত পরিপূর্ণ না করে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় না। কোনো ব্যক্তি তার তাকদির নির্ধারিত সময় ছাড়া মৃত্যুবরণ করে না। আর কেউই অন্য কারো রিযিক থেকে বিন্দুপরিমাণ হ্রাস করতে পারে না, চাই হ্রাস-আকাঙ্ক্ষী যত বড় মর্যাদা বা পদমর্যাদার অধিকারী হোক না কেন, তার ক্ষমতা ও দাপট যতই বিস্তৃত ও প্রসারিত হোক না কেন।

আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো কষ্ট দেন, তাহলে তিনি ছাড়া আর কেউ তা দূর করতে পারে না। আর তিনি যদি তোমার কল্যাণ চান (তাহলে কেউ তা প্রতিহত করতে পারে না)। তিনি সব বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (সূরা আনআম ৬:১৭)

যদি তুমি বিশ্বাস করো যে, আল্লাহই তোমার রিযিকের দায়িত্ব নিয়েছেন, তাহলে রিযিকের জন্য এত দুশ্চিন্তা কীসের? যদি জাহান্নাম সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তুমি এতো গুনাহ প্রবণ কেনো? যদি দুনিয়া নশ্বরই হয়ে থাকে, তাহলে এখানে আত্মতৃপ্ত কেন? যদি হিসাব-নিকাশ সত্যই হয়, তাহলে সম্পদ সঞ্চয়ের এত প্রবণতা কেন?

যদি সবকিছু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার পক্ষ থেকে কাযা ও কাদরের কারণেই হয়, তাহলে এত ভয় আর শঙ্কা কেন? যদি মুনকার-নাকিরের সুওয়াল-জাওয়াব সত্যই হয়, তাহলে এত ভাব আর অন্যের প্রতি টান কেন?

যার হৃদয়ের গভীর থেকে গভীরে এই আক্বিদাহ গেঁথে যায় সে খুব শক্তিশালী হয়, সে আর নিজেকে অপমানিত মনে করে না। পৃথিবীর মহাশক্তির মুখোমুখি হয়েও কোনো ভয় পায় না। দুনিয়ার মহাশক্তিশালী সম্রাটের ক্ষমতার সামনেও বিন্দুপরিমাণ নমনীয় হয় না। লোভনীয় সম্পদ ও প্রাচুর্যের হাতছানিতেও সে প্রলুব্ধ হয় না।

এই আক্বিদাহই ব্যক্তিকে কর্দমাক্ত নর্দমা থেকে মর্যাদার সুউচ্চে তুলে ধরে। তখন সে এমন এক সুউচ্চ স্থানে অবস্থান করে, যেখান থেকে সে আত্মবিনয়ী হয়ে গোটা পৃথিবীর ওপর চোখ বোলাতে পারে, তার ভেতরে জন্ম নেয় আত্মসম্মানবোধ; কিন্তু ভালোবাসা ও পারস্পরিক হৃদ্যতা পূর্ণ মাত্রায় বজায় থাকে। লোপ পেতে থাকে দাম্ভিকতা-অহংবোধ ও মানুষের প্রতি রূঢ়তা। তখন সে আকাঙ্ক্ষা করতে থাকে যে, আল্লাহ তাকে যে মর্যাদায় উন্নীত করেছেন, তাদেরও যেন সেই মর্যাদায় আরোহন করান।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক- সীমান্তের আহ্বান। সহকারী সম্পাদক- জনকল্যাণ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ