রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

রোজা সংরক্ষণে নবিজির নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

 আওয়ার ইসলাম: মুসলমানের জীবনে যে কয়টি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত আছে, রোজা তার মধ্যে অন্যতম। কুরআন এবং হাদিসে এর গুরুত্বের কথা বহু জাগায় বর্ণিত হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে এর বিশাল ফজিলতের কথা। রোজাদার যখন যথাযথভাবে রোজার হক আদায় করবে, তখনই সে এই ফজিলতসমূহের যোগ্য হবে। তাই রোজার ফযিলতের বিষয়টা রোজা সংরক্ষণের সাথে সম্পর্ক রাখে। যার রোজা যতবেশি সংরক্ষিত সে ততো ভাগ্যবান।

মুসলিম হিসেবে প্রত্যেক রোজাদার সতর্ক। যেন কোন কারণে তার রোজা নষ্ট না হয়। কে চায় সারাদিনের কষ্টটা ভেস্তে যাক? তাই রমজান মাসে প্রত্যেকেই যার যার মত করে নিজকে গুটিয়ে ফেলে অন্যায় অপরাধ থেকে। সমাজে আমরা এর বাস্তবতাও দেখি। বেনামাজির মাথায় টুপি। ঘরে ঘরে কুরআনের আওয়াজ। এরপরও অনেক সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। দেখা যায়, ব্যক্তিগতভাবে সে অপরাধে আগ্রহী নয়, কিন্তু পরিস্থিতি তাকে অপরাধ করতে বাধ্য করছে। এমন অবস্থায় একজন রোজাদার কিভাবে তার রোজার সংরক্ষণ করবে? কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে নিজকে? আর নিজের মহামূল্যবান আমলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবে।

উম্মতের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ সা. পরিস্থিতির এ স্পর্শকাতর বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেছেন। এ মুহূর্তে রোজাদার কিভাবে নিজের রোজা সংরক্ষণ করবে, এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেন, যদি কোনো রোজাদারের সাথে অন্য কেউ ঝগড়া করে অথবা তাকে গালি দেয়, তাহলে সে যেনো বলে, ‘আমি রোজাদার।’ বুখারি শরিফ : ১৮৫৬

এ হাদিসে নবিজি উম্মতকে সতর্ক করছেন। সাথে সাথে রোজা সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে হাদিসে বর্ণিত ‘আমি রোজাদার’ কথাটি বলার পদ্ধতি কেমন হবে, এ ব্যাপারে দুইটি মত পাওয়া যায়। এক মতে, রোজাদার ব্যক্তি গালিদাতাকে উদ্দেশ্য করে মুখে উচ্চারণ করে বলবে; ভাই আমি রোজাদার।  অন্যমতে, রোজাদার নিজকে সম্বোধন করে মনে মনে বলবে, আমি রোজাদার। এবং নিজকে ঝগড়া বিবাদ থেকে বিরত রাখবে। (উক্ত হাদিসের টীকা দ্রষ্টব্য)

মোট কথা, যখনই কোনো রোজাদার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, রাসুলের এ নির্দেশনাকে আমলে আনবে। সংরক্ষণ করবে নিজের রোজাকে। সতর্ক থাকবে, যেনো অন্যের কারণে নষ্ট না হয় নিজের মূল্যবান এ ইবাদত। যেন হাতছাড়া না হয়, রোজার ঘোষিত ফাজায়েল।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ