আওয়ার ইসলাম: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কক্সবাজারের টেকনাফে তাবলীগ ফেরত ৪২ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। তারা বেশির ভাগই নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও কুমিল্লায় তাবলীগ জামাত শেষ করে চলতি মাসের শুরুর দিকে টেকনাফে ফেরেন।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কন্টিজেন্ট লে. কমান্ডার তৌকির আহমদের নেতৃত্বে বিশেষ টহলদল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল ও সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন স্ব স্ব এলাকায় গিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে টেকনাফে ফেরত আসা তাবলিগ জামাতের ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আবুল মনসুর বলেন, যেহেতু করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসেবে ঢাকার কয়েকটি অংশ ও নারায়ণগঞ্জকে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস্টার (এলাকা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি আদেশ অম্যান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সুস্থ ভাবে কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, তারা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে তাবলিগ জামাত শেষে এলাকায় (টেকনাফ ও সাবরাং) এলাকায় ফিরছিলেন। গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তারা টেকনাফ থেকে তাবলিগ জামাতের বের হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, বুধবার ভোররাতে তাবলিগ জামাতের ৪২ জন মুসল্লি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে টেকনাফে আসার সময় চকরিয়া এলাকায় পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে এসে পৌঁছালে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাদের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টেকনাফে পাঠানো হয়েছে। এরপর উপজেলা প্রশাসন ৪২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠায়।
কক্সবাজার জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ নেই বলে দাবি করেন জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
-এএ