সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

পর্যটনে এগিয়ে যেতে সৌদি আরবে সবচেয়ে বড় ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

সৌদি আরবে দক্ষিণ-পশ্চিমের আসির উপকূলে দেশের সবরচেয়ে বড় ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আল-আরাবিয়া জানায়, ৫০০ মিলিয়ন রিয়াল ব্যয়ে এ ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ওয়াটারফ্রন্টটি সর্বশেষ আধুনিক প্রযুক্তি এবং নান্দনিক শৈল্পিক কারুকাজ ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে।

সূত্র মতে জানা যায়, আসির উপকূলে স্থাপিত ওয়াটারফ্রন্টটি ২.৪ মিলিয়ন বর্গমিটার এলাকাতে নির্মিত। এটির উদ্বোধন করেন আসির শহরের গভর্নর প্রিন্স তুর্ক বিন তালাল বিন আবদুল আজিজ। ওয়াটারফ্রন্টটি সমুদ্রপ্রেমি ও অনুরাগীদের চাহিদা পুরণে নির্মিত হয়েছে। পর্যটকদের সাগরের সৌন্দর্যে মুহিত করতে নানান উদ্যোগের এটি একটি। ওয়াটারফ্রন্টটির কাছেই নির্মাণ করা হয়েছে আধুুনিক হোটেল।

ওয়াটারফ্রন্টের উদ্বোধনের সময় বক্তব্যে গভর্নর তুর্ক বিন তালাল বলেন, ওয়াটারফ্রন্টটি সৌদি ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। ওয়াটারফ্রন্টটি হারামাইন শরীফাইনের খাদেম শাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একান্ত ইচ্ছা আর পরিকল্পনায় নির্মাণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত আগস্টে ভিশন ২০৩০-এর পরিকল্পনাধীন একটি পর্যটন প্রকল্পের যাত্রা শুরু করেছে সৌদি আরব। এর আওতায় রয়েছে ১০০ মাইল দীর্ঘ বালুকাময় উপকূল ও ৫০টি দ্বীপের একটি উপহ্রদ।

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ দেশটিকে বৈশ্বিক অর্থনীতির পরিবর্তনের এ সময় সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকেই ধাবিত করছে। এ সম্ভাবনাকে পূর্ণতায় রূপ দিতে দেশটির পবিত্র শহর মক্কায় বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা হবে, যা ভিশন ২০৩০-এর জন্য অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে দেশটিকে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার কেন্দ্রভূমিতে পরিণত করার জন্য এবং দেশটিকে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীর মৌলিক প্রবেশদ্বারে রূপান্তরিত করতে সৌদি আরব যে রোডম্যাপ তৈরি করেছে, তার মূলে প্রতিবছর হজ পালন করার বিষয়টি কাজ করছে।

এটা খুবই বাস্তবসম্মত ও সময়ের সঙ্গে মানানসই দৃষ্টিভঙ্গি। ভিশন ২০৩০-কে কেন্দ্র করে মক্কাকে ফের সুবিন্যস্ত করে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টা চলছে। সৌদি আরবের যে সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তা অন্য দেশগুলোর নেই অথবা কখনো সম্ভবও হবে না। মক্কাকে ২০০ কোটি মানুষের পবিত্র শহরে রূপান্তরিত করতে পারলে তা মুসলমানদের অর্থনৈতিক শক্তি ও সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে নতুন আন্দোলন হিসেবেই গণ্য হবে।

মুহাম্মদ বিন সালমান আরো বলেন, আমাদের ভিশনের স্তম্ভ তিনটি। এক. আরব ও ইসলামী গভীরতা। দুই. বিনিয়োগ শক্তি। তিন. কৌশলগত ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান। আমাদের দেশ বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী, সমৃদ্ধময় ও উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে, স্থানীয় নাগরিকদের কর্মসংস্থান তৈরির জন্য এবং দেশের ক্রমোন্নতি ও সুখসমৃদ্ধি সৃষ্টির তরে আমরা বেশ কয়েকটি দিগন্ত উন্মোচন করব। এই প্রতিশ্রুতি সবার সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে।

আল আরাবিয়া ডটকম থেকে আবদুল্লাহ তামিমের অনুবাদ

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ