সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

বিশ্বের সবচেয়ে গরিব রাষ্ট্রপ্রধান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে একজন প্রেসিডেন্টের জীবনধারা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। প্রথাগত এসব ঠাটবাটের বালাই নেই লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকার। জীর্ণ খামার নিয়ে খুব সাধারণ এক মানুষের মতো দিন গুজরান করছেন তিনি। আরাম-আয়েশের সরকারি সব সুযোগ দূরে ঠেলে বেছে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের জীবন।

সরকার প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকার জন্য বিলাসবহুল সরকারি বাসভবন বরাদ্দ করেছিল। তবে তিনি সেই বাড়িতে যাননি। প্রেসিডেন্ট হলেও তিনি থাকেন রাজধানী মন্টেভিডিও থেকে বেশ দূরে স্ত্রীর খামারবাড়িতে। স্ত্রীর সঙ্গে ফুলের চাষ করেন। আয়ের বেশির ভাগ অংশই ব্যয় করেন দাতব্য কাজে।

মুজিকার বাড়ির বাইরে কাপড় কাচার ঘর। মাঠের এক কূপ থেকে পানি তোলা হয়। কূপের চারপাশটা আগাছায় ভরা। প্রেসিডেন্টর এই বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে মাত্র দুজন পুলিশ। আর রয়েছে তিন পেয়ে কুকুর ম্যানুয়েলা।

২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট হোসে মুজিকা তার সম্পদের বিবরণ দেন। এতে দেখা যায়, তার সম্পদের পরিমাণ মাত্র এক হাজার ৮০০ ডলার। মুজিকা তার মাসিক আয়ের ৯০ শতাংশই দাতব্য কাজে দেন। এর মূল্যমান প্রায় ১২ হাজার মার্কিন ডলার।

খামারবাড়ির বাগানে রাখা পুরোনো চেয়ারে বসে পছন্দের কুকুরটিকে আদর করতে করতে মুজিকা বলছিলেন, ‘আমি এভাবেই আমার জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছি। আমার যা আছে, তা নিয়ে আমি চলতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বেশি বিত্তবৈভব না থাকলে সারাজীবন শুধু দাসের মতো কাজ করার কোনো দরকার নেই; বরং ওই সময়টা নিজেকে দিন। আমাকে পাগল বা পাগলাটে বৃদ্ধ মনে হতে পারে। কিন্তু এটা আমার নিজের পছন্দ।’

তিনি বলেন, বিশ্বে যে পরিমাণ সম্পদ আছে তা দিয়ে কি ৭০০-৮০০ কোটি মানুষ একইভাবে ভোগ ও অপচয় করতে পারবে, যেটা উন্নত বিশ্ব করছে? এ ধরনের উচ্চ ভোগবাদ পৃথিবীর ক্ষতি করছে। ভোগবাদের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বনেতারা অন্ধ বলে তিনি তাদের সমালোচনা করেন।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ