কাউসার লাবীব: রাসুলে মাকবুল সা. তার প্রাণপ্রিয় সাহাবিদের লক্ষ করে বলেছিলেন-“ بَلِّغُوْا عَنِّى وَلَوْ اَيَةً” ‘আমার পক্ষ থেকে (মানুষের কাছে) একটি বাণী হলেও পৌছে দাও’ [সহিহ বুখারি: ৩৪৬১]।
সাহাবায়ে কেরাম প্রিয় নবীজির এ কথা শুনে নবীবাণী পৌছে দিতে ছড়িয়ে পড়িয়েছিলেন পুরো বিশ্বব্যাপী। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম সর্বত্র। শুধু ঘোড়া কিংবা উট হাকিয়ে দূর আরব থেকে দীনের বাণী পৌছাতে চলে এসেছিলেন চিন, আফগানিস্তান আর হিন্দুস্তানে।
তারা আজ প্রভুর দরবারে কৃতজ্ঞ বান্দা হিসেবে পরিচিত। দয়াময় স্রষ্টা তাদের স্মরণ করেছেন এভাবে- “رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ (আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট)”
খায়বার, ওহুদ, কারবালা আর উস্তুনতুনিয়ার উত্তাল ময়দানে যাদের ঘোড়া উড়িয়েছিল উত্তপ্ত বালিকণা, আজ তাদের জীবন বাজী রাখা স্মৃতিগুলো আমাদের মনে প্রাণ সঞ্চার করে। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় দীনের বাণী মানবের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার কথা।
সেই দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা থেকে দয়াময় স্রষ্টার একদল কৃতজ্ঞ বান্দা যুগযুগ ধরে নবীবাণী ও দীনের আওয়াজ সমাজে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, বিলিয়ে দিচ্ছেন নববী ভালবাসা। আর এভাবে সজীব করে তুলছেন মানুষের ইমান ও মন। মানুষকে ডেকে আনছেন প্রভুর কল্যাণের পথে।
মহান এ কাজে প্রাজ্ঞ ও সিনিয়র আলেমগণ বরাবরের মতোই এগিয়ে এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাই। তবে ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য সুখের কথা হলো, এ কাজে আজকাল তরুণরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই।
বরং তাদের যুগোপযুগী মন ও সাধনা সমাজের প্রধানশক্তি যুবসমাজকে দীনের পথে ধাবিত করছে। তরুণ ও যুবকরা খুজে পাচ্ছেন পার্থিব জীবনের প্রকৃত স্বার্থকতা।
আজ আমরা এই ফিচারে এমন তিনজন তরুণ আলেমের জীবনের সঙ্গে পরিচিত হবো, যারা এই বয়সেই দীনের দাঈ হিসেবে নিজেদের নিবেদিত করেছেন। ভালোবাসা মিশ্রিত হকের আওয়াজ তুলে চেষ্টা করছেন সমাজে আবার ফিরিয়ে আনতে নববীযুগের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
বিশ্বব্যাপী মানবতার কল্যাণে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন যে মেধাবী তরুণ
কিশোরগঞ্জের বৌলাই ইউনিয়নের রঘুনন্দনপুরে মায়ের স্বপ্ন উজ্জ্বল করে পৃথিবীতে আসেন তরুণ ওয়ায়েজ হাফেজ মাওলানা যুবায়ের আহমাদ।
মা-বাবার স্বপ্ন ছিল তাকে কুরআনের খাদেম বানাবে। তাই কলিজার টুকরো ছেলেকে ভর্তি করান কিশোরগঞ্জেরই ভরাটি চরপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসায়।
ছেলে বাবা মাকে আশাহত করেনি। ২০০৩ সালে স্টারমার্ক পেয়ে সম্পন্ন করেন কুরআনুল কারিম হিফজ এবং অর্জন করেন জাতীয় হিফজুল কুরআন পুরস্কার, চট্টগ্রাম ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কেরাত পুরস্কার।
এরপর কিতাব বিভাগে ভর্তি হন মেধাবী এই হাফেজ। আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন।
কওমি মাদরাসা থেকে বিদ্যার্জনের পাশাপাশি জেনারেল শিক্ষায়ও পিছিয়ে থাকেননি তিনি।২০০৯ সালের দাখিল পরীক্ষায় বোর্ড স্কলারশিপসহ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। স্থান করে নেন বোর্ডের মেধাতালিকায়।
২০১১ সালে আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় বোর্ড স্কলারশিপসহ গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। স্থান করে নেন বোর্ড মেধা তালিকায়।
এরপর মেধাবী এ তরুণ আলেম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ (স্নাতকোত্তর) সম্পন্ন করেন।
মাওলানা যুবায়ের আহমাদ কিন্তু সঙ্গীতাঙ্গনেও বেশ দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ২০০৪ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দিশারী সাহিত্য ও সাংস্কুতিক ফোরাম কিশোরগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি একাধিকবার জেলা ও বিভাগীয় ইসলামি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
লেখালেখিতেও বেশ এগিয়ে আছেন তরুণ এ ওয়ায়েজ। বাংলা ও ইংরেজিতে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন প্রবন্ধ ও ফিচার। ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি সান-এ পর্যন্ত তার শতাধিক আর্টিকেল ছাপা হয়েছে।
এছাড়া দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক যুগান্তর, আলোকিত বাংলাদেশ, অনলাইন পত্রিকা বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ও আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়েছে তার চার শতাধিক প্রবন্ধ। এছাড়া প্রকাশের অপেক্ষায় আছে তার ৩টি বই।
মেধাবী এ আলেম তরুণের গবেষণাধর্মী ও তথ্যবহুল ওয়াজ ইতোমধ্যে শ্রোতা মহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বিষয়ভিত্তিক ও গবেষণাধর্মী আলোচনার পাশাপাশি শুদ্ধ ও প্রাঞ্জল বাংলা, মনোমুগ্ধকর তিলাওয়াত, মাঝেমধ্যে ইসলামি সঙ্গীত এবং ইংরেজি কোটেশন পেয়ে যার পরনাই মুগ্ধ হন তার ভক্তকুল।
ওয়াজ মাহফিল, লেখালেখিতে সময় দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ২০১৫সাল থেকে গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে বাইতুশ শফিক জামে মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের জীবন নিয়ে রয়েছে তার নিপুন ইচ্ছে আর বাস্তবধর্মী স্বপ্ন। পিএইটডি সম্পন্ন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার আলো বিলানোর ইচ্ছা। আর লেখক, খতিব ও ওয়ায়েজ হিসেবে দেশ ও মানবতার কল্যাণে স্বপ্ন পোষেণ আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার।
জনপ্রিয় এক সঙ্গীত শিল্পী যেভাবে বক্তা জীবনে
বক্তা পরিচয়ের আগে তার ভক্তদের কাছে তিনি যে পরিচয়ে প্রসিদ্ধ তা হলো, তিনি একজন পরিশ্রমী ও দায়িত্ববান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সাঈদ আহমাদ নামেই তাকে মানুষ বেশি চিনে।
তরুণ এ আলেমের পৈতৃক নিবাস মাগুড়ায় হলেও সরকারি চাকরির সুবাধে তার বাবা সাইদ আহমাদের জন্মের আগেই চলে আসেন রাজধানীতে। বসবাস শুরু করেন মুগদাপাড়ায়। আর সেখানেই মুফতি সাইদ আহমাদের জন্ম।
বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনুরাগী বাবা তাকে পবিত্র কুরআনুল কারিম হিফজ করার জন্য ভর্তি করিয়ে দেন নারায়ণগঞ্জের তারাবো’র একটি হিফজুল কুরআন মাদরাসায়। খোদার কৃপায় মুখস্ত করেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন।
হিফজ শেষ করার পর জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় ভর্তি হয়ে পড়েন জামাতে মিযান বা ষষ্ঠশ্রেণি পর্যন্ত। এরপর চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত ভিন্নধর্মী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইকরা বাংলাদেশে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত সেখানেই পড়ালেখা করেন। আর এর সঙ্গে সময় সুযোগ করে সঙ্গীতমঞ্চ মাতাতে থাকেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে উচ্চ ইসলামি আইন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য মাহাদুল ইকতেসাদিয়া যাত্রাবাড়ীতে দারুল ইফতায় ভর্তি হন।
সাল 2015, এ বছরই খ্যাতিমান এ সঙ্গীতশিল্পী তার শ্রোতাদের মন ও হৃদয় নতুন করে জয় করতে ও দীনের দাওয়াত সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে ওয়াজ ও বক্তুতার অঙ্গনে হাজির হন।
কলরেবের সিনিয়র শিল্পী হওয়ায় এমনিতেই যেহেতু তার বেশ শ্রোতা ছিল, তাই ওয়াজের অঙ্গনে তার নতুন করে কিছু ভাবতে হয়নি। প্রাণের শ্রোতারা প্রিয় শিল্পীকে নতুন রূপে পেয়ে গ্রহণ করেন সানন্দে।
তরুণ এ ওয়ায়েজ ওয়াজ ও বক্তৃতায় বেড়ে ওঠেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী ও মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীকে অনুসরণ করে। বয়ান করার সময় যাদের থেকে তিনি রসদ নিয়ে থাকেন, তারা হলেন মাওলানা তারিক জামিল, মুফতি রশিদুর রহমান কাসেমী, মুফতি ফয়জুল করীম, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী ও মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদ।
শ্রোতাপ্রিয় এ তরুণ বক্তা শুধু দেশেই নয় ওয়াজ করে থাকেন বহির্বিশ্বেও। মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু দেশে তার রয়েছে অনেক ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী।
তরুণ এ ওয়ায়েজ বক্তৃতার ক্ষেত্রে চেষ্টা করেন সাধারণ মানুষকে প্রত্যাশার কথা শুনিয়ে দীন-ইসলামের সঙ্গে জুড়িয়ে দিতে। ভালোবাসা ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দিতে সর্বত্র। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণরা এগিয়ে এলে অন্যান্য অঙ্গনের মতো বক্তৃতার অঙ্গনে সোনা ফলানো সম্ভব।
মুফতি সাঈদ আহমদ ওয়াজ মাহফিল ও সঙ্গীতের পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন দরস-তাদরিসেও । ঢাকার অদূরে সানারপাড়ে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন মাদরাসাতুল আসআদ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার স্বপ্ন ও প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠানটিকে পর্যায়ক্রমে দারুল হাদিস পর্যন্ত নিয়ে যাবেন।
তবে দক্ষ ও নিবেদিত শিক্ষকের অভাব তার এই আশা পূরণে কিছুটা কালো ছায়া নামিয়ে আনে।তারপরও নিজের স্বপ্নকে বাস্তবরূপ দেওয়ার জন্য চেষ্টায় আছেন প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব একটি জায়গায় নিয়ে যেতে।
যে কারণে মানুষ সাইদ আহমাদকে বেশি চেনে তা হলো, সঙ্গীত। আর এ সঙ্গীতাঙ্গনে তার আগমন ২০০৫ সালে কলরবের মাধ্যমে। ছোটবেলা থেকে যেহেতু তার কণ্ঠে ছিল বাড়তি আকর্ষণ, তাই বন্ধু-বান্ধব, উস্তাদ ও পরিবার-পরিজন তাকে এ প্রতিভা কাজে লাগানোর জন্য বারবার তাগিদ দেন।
সবার তাগিদে পা রাখেন স্বপ্নের এ পথে। মাওলানা আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. এর সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবে এসে স্বপ্ন লালন শুরু করেন তিনি। আর তার প্রিয় সঙ্গীতগুরু আজাদ রহ.ও তার প্রতিভাকে যত্ন করতে শুরু করেন। ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনেই তাকে নিয়ে শুরু করেন প্রোগ্রাম।
ধীরে ধীরে আইনু্দ্দীন আল আজাদ রহ. তাকে কলরবের সহযোগী পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করেন। আর এ দায়িত্ব তিনি পালন করেন নিষ্ঠা ও যত্নের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে আছেন।
তার ইচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ভাষায় ইসলামি সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বব্যাপী সঙ্গীতপ্রেমীদের নিয়ে দীনের কাজ করার। সে আশা থেকেই তিনি গেয়েছেন, ‘ইয়া রব, দিল মুসলিম কো’ এবং ‘খোদা ওয়ান্দা’র মতো জনপ্রিয় সঙ্গীত। আর বহির্বিশ্ব থেকে ভক্তরাও তাকে ভালোবাসা ও সাহস যুগিয়েছেন।
আলেম পরিবারে জন্ম নেওয়া একজন তরুণ ওয়ায়েজ
জন্ম চাদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের সভ্রান্ত এক আলেম পরিবারে। তার বাবা মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন এবং দাদা কারি মুহাম্মদুল্লাহ রহ.। বলছি তরুণ আলেম ফেরদৌস আল আজাদের কথা
তৎকালীন সময়ে যখন জৈনপুরের পীরসাহেবগণ আমাদের মাঝে বিলাতেন শুদ্ধ দীনের নির্যাস, তখন তারা চাঁদপুরে এলে সবসময় তার দাদা কারি মুহাম্মদুল্লাহই তাদের বয়ানের তরজমা করতেন। তাই তাকে অনেকে জৈনপুরের ভাষ্যকারও বলতো।
পৈতৃক নিবাস চাঁদপুর হলেও তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার হাতেখড়ি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ মাদরাসায়। কেননা তার বড়ভাই সেখানে লেখাপড়া করতেন। বাবা মাওলানা দেলোয়ার নিজের অন্য ছেলেদের কাছেই কিশোর এ ছেলের লেখাপড়া বিষয়ক দায়িত্ব দেন।
তবে মাওলানা ফেরদৌস আল আজাদের লেখাপড়ার হাতেখড়ি কিন্তু নিজ ঘরেই। বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের কাছেই তিনি হরফের পরিচয় পান।
চরমোনাই মাদরাসায় লেখাপড়া করার পর তার ভাইয়ের লেখাপড়ার উদ্দেশে ঢাকা আসার সুবাদে তিনিও ঢাকায় চলে আসেন। ভর্তি হন মিরপুর জামেউল উলুম মাদরাসায়।
এরপর পড়াশোনায় ভিন্নমাত্রা যোগ করতে ভর্তি হন মিরপুর দারুল উলুম মাদরাসায়। আর সেখানে পড়েন জামাতে জালালাইন পর্যন্ত।
মেশকাত ও দারুল হাদিস পড়েন মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসানের মাদরাসা জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীতে। বর্তমানে তিনি যাত্রাবাড়ীর মাদরাসাতুস সালমানে অধ্যায়নরত। সঙ্গে ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন দীনের অকৃত্রিম খেদমত।
পাশাপাশি দেখাশোনা করছেন গাজীপুর জামিয়াতুস সুফফা ও নিজ নাড়ির গন্ধমাখা প্রতিষ্ঠান কারিমুল উলুম, যার সূচনা তার পিতৃপুরুষদের হাতে।
ওয়াজ ও বক্তৃতায় আদর্শের আয়নায় যাদের তিনি লালন করেন তাদের মধ্যে অন্যতম মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম ও মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।
তরুণ এ বক্তা বক্তৃতার মঞ্চের সঙ্গে একসময় সঙ্গীতের মঞ্চও কাঁপাতেন। সঙ্গীতের দীক্ষা নেন মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. এর কাছে। স্বীয় উস্তাদের প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবেও ছিলেন কিছুদিন। এরপর চলে আসেন আহ্বান শিল্পীগোষ্ঠীতে।
দীর্ঘসময় ধরে তিনি আছেন এ শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে। বর্তমানে তিনি এর নির্বাহী পরিচালক। তবে তাকে আর এখন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তেমন সরব দেখা যায় না। আছেন বয়ানের মাঠ নিয়েই।
আরএম/