বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


রাজধানীতে ৪৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: খুচরা বাজারে পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নিন্ম আয়ের মানুষের কথা মাথায় রেখে রাজধানীতে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ কিনতে মানুষের লম্বা সারি। প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ালে মিলছে পেঁয়াজ। তবে পেঁয়াজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতারা।

ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছেন জসিম উদ্দীন। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা দরে কেনা যাচ্ছে। কিন্তু দুই কেজি পেঁয়াজ নিলে ১০০ টাকা নিচ্ছেন তারা। তবে দুই কেজির চেয়ে কিছু বেশি পেঁয়াজ দিয়ে দিচ্ছেন।

তবে পেঁয়াজের মান ভালো নয় বলে দাবি করছেন ক্রেতারা। এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের মান আছে মোটামুটি, তবে অত ভালো না। দোকান থেকে তো হাতে বেঁচে নেয়া যায়, কিন্তু এখানে তো সেই সুযোগ নাই। পঁচা-ভালো সব একবারেই দিয়ে দেয়। এটা বাজারে হয়তো ১০০ বা ৯০ টাকা হবে। এখানে ৪৫ টাকায় পাচ্ছি। ৫০ বা ৫৫ টাকা সঞ্চয় হচ্ছে।

টিসিবির মুখপাত্র মুহা. হুমায়ুন কবির বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ৩৫টি ট্রাকে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ডিলার কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে প্রতিদিন এক হাজার কেজি (এক টন) পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।

পেঁয়াজের মান নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে টিসিবির এ কর্মকর্তা জানান, দেশি ও আমদানি দুই ধরনের পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। দেশি পেঁয়াজের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। আমদানি পেঁয়াজ দেশির চেয়ে কিছুটা নিম্নমানের। তবে টিসিবির পক্ষ থেকে বাজারের সবচেয়ে ভালো আমদানি পেঁয়াজ সরবারহ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত মাসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। এর পরপরই বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। আমদানি করা পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজি ৯০-১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর