মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


তদন্ত হলে পদ ফিরে পাওয়ার আশা রাব্বানীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসরণ করা হলেও এখনো পদটি ফিরে পাওয়ার আশা করছেন গোলাম রাব্বানী।

গতকাল (সোমবার) তিনি দাবি করেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই তিনি পদ হারিয়েছেন। আর সেই ষড়যন্ত্র পরিষ্কার হলেই তিনি আবার তার পদ ফিরে পাবেন। এজন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটির তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রী যদি ওই ঘটনা বুঝতে পারেন, তাহলে আবার পদে পুনর্বহাল হবেন বলে আশা রাখছেন তিনি।

গোলাম রাব্বানীর অভিযোগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। উপাচার্যের মিথ্যাচারের জন্যই সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনসহ তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ছাত্রলীগের পদ হারিয়েছেন।

রাব্বানী বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে তা খোলাসা হচ্ছে। আমরা আমাদের জায়গায় ক্লিয়ার, ইতোমধ্যে তা ক্লিয়ারও করেছি। আর যে আর্থিক লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে ভিসি ম্যাম (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি) বলে দিয়েছেন যে, টাকা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। মূল যে ঘটনা, তা হলো তিনি তার পরিবারকে বাঁচানোর জন্যই ছাত্রলীগকে দোষারোপ করেছেন, তা ইতোমধ্যে অডিও ক্লিপে ক্লিয়ার হচ্ছে। তাই যে ষড়যন্ত্র সেই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন হয়ে যাবে’।

নিজেকে আইনের ছাত্র উল্লেখ করে রাব্বানী বলেন, ‘আমি চাই এ ঘটনা নিয়ে একটি সুষ্ঠু তদন্ত হোক। তাহলে সব বের হয়ে আসবে। তাতে যদি আমি অপরাধী হই, তাহলে আমার শাস্তি হোক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নেত্রীকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আর নেত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে আমরা ছাত্রলীগ করব না। তাই নিজেই পদত্যাগপত্র নেত্রীর কাছে জমা দিয়েছি।’

পদ হারানোর ঘটনা ছাত্রলীগের ঘরের বিষয় উল্লেখ করে রাব্বানী বলেন, ‘ছাত্রলীগ তো আমাদের ঘর। এই ঘরের বিষয় নিয়ে বাম-ডান, ওপর-নিচ কারও তো মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী, যিনি আমাদের আস্থার শেষ ঠিকানা। তিনি হয়তো কষ্ট পেয়েছেন। আমরাও বলেছি যে নেত্রীর মনে কষ্ট দিয়ে আমরা ছাত্রলীগ করতে চাই না। তাই আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এতে যদি নেত্রীর ভুলের জায়গাটা আবার ক্লিয়ার হয়, তখন আবার পদত্যাগপত্র উইথড্রো করে নিতে পারেন। কারণ, তিনি আমাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেননি।’

এ সময় নিজেদের পক্ষ থেকে তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় ভ্রাতৃপ্রতীম এই সংগঠনের শীর্ষ দুই পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানীকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তার এই নির্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দেন এই দুই নেতা।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ