সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

ইতিহাসের কথা বলে শেখ বাহার উল্লাহ জামে মসজিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদ বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের শুলকবহরে অবস্থিত একটি অতি প্রাচীন মসজিদ। এ মসজিদটি মুসলিম ইতিহাস ও স্থাপত্যশৈলির রাজসাক্ষ্যী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

মোঘল আমলে এই অঞ্চল অর্থাৎ চট্টগ্রাম যখন ইসলামাবাদ নাম নিয়ে সুবা বাংলার রাজধানী ছিল তখনই এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ধারনা করা হয় মোঘল সুবাদার শায়েস্তা খাঁর পৌত্র শেখ বাহার উল্লাহ ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

তার মৃত্যুর পর এই মসজিদ শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে এই ধারণা করা হয়। এই মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিভুক্ত একটি গুরত্বপূর্ণ মহামূল্যবান ও অতি সংবেদনশীল স্থাপনা।

ভারতের দিল্লীর কেন্দ্রীয় মহাফেজখানা ও বৃটেনের লন্ডনস্থ ব্রিটিশ মিউজিয়াম এ শেখ বাহার উল্লাহ জামে মসজিদ সম্পর্কিত গুরত্বপূর্ণ দস্তাবেজ প্রায় ১৭০ বছর ধরে সযত্নে রক্ষিত রয়েছে।

চট্টগ্রাম মহনগরীর পাঁচলাইশ থানাস্থ শুলক বহরের আবদুল্লাহ খাঁন সড়কে এই ঐতিহাসিক মসজিদের অবস্থান। এই মসজিদ হতে মাত্র ৫০ গজ দূরেই শায়েস্তা খাঁর রাজমহল যা বর্তমান কোর্ট হিলে আদালত ভবন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এখানেই সকল ধরনের বিচার কার্য্য সমাধা হতো। এখানেও শেখ বাহার উল্লাহ শাহী জামে মসজিদের একই অবয়বে আরো একটি মসজিদ বিদ্যমান রয়েছে।

মসজিদটির আদি গড়নে প্রাধান্য পেয়েছে তিনটি গম্বুজ ও আটটি মিনার। অবশ্য বিভিন্ন সময়ে সংস্কারকার্য ও নির্মাণ সম্পাদনের ফলে আজও এই গম্বুজ ও মিনারগুলি বিদ্যমান। বর্তমানে এর আদি রূপটি শুধু মাত্র মসজিদের পশ্চিম দিক হতে দৃষ্টিগোচর হয়।

একটি বে'র উপরেই তিনটি গম্বুজ দিয়ে মসজিদটি আচ্ছাদিত, মাঝখানের গম্বুজটি তুলনামূলক বড় আকৃতির এবং দুপাশের গম্বুজগুলি অপেক্ষাকৃত ছোট। কেন্দ্রীয় মেহরাবটি অর্ধগোলাকৃতির, যা সংস্কারের পরে (২০০৩) আজও সেরকমটাই রয়েছে। বড় দরজার মধ্যবর্তী স্থানে কেন্দ্রীয় মেহরাবের দুই পাশে অর্থাৎ ছোট দুই দরজার সামনে দুটি মেহরাব সাদৃশ্য ছোট অর্ধচন্দ্রাকারের মেহরাব মসজিদের সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ।

তিনটি দরজার চৌকাঠে উপরে ইটের খিলানে আবৃত। এ ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিন পাশের জানালায় খিলান নজরে আসে। সম্প্রতি এপ্রিল (২০১৯) সালে এই মসজিদ প্রাঙ্গনে বুখারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় তোরনের আদলে একটি বৃহৎ ও দৃষ্টিনন্দন তোরন নির্মাণ করা হয়েছে যা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে উৎসুক লোকজন এখানে নিয়মিত ভিড় জমায়।

মোগল স্থাপত্যে গড়া মূল আদি মসজিদটি কয়েকশত বছরের স্মৃতি বহন করে। তবে কালের বিবর্তনে মূল মসজিদ অক্ষত রেখে এই মসজিদ তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মসজিদের বর্তমান খতিব মাহবুবুল আলম।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ