রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৫ মাঘ ১৪৩১ ।। ১০ শাবান ১৪৪৬


ইস্তেখারার জন্য কি ঘুমাতে হয়?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কোনো কাজ করার ইরাদা করলে কিংবা অত্যাসন্ন কোনো বিষয়ে আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে তাঁরই দরবারে কায়মনোবাক্যে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রার্থনা করার নাম ইস্তেখারা।

অর্থাৎ ইস্তেখারার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করে যে, আমি যা করতে চাই তাতে যদি আমার কল্যাণ থাকে তাহলে তা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং বরকত দান করুন। আর যদি তাতে কল্যাণ না থাকে তাহলে তা থেকে আমাকে বিরত রাখুন এবং যাতে আমার কল্যাণ তা-ই আমাকে দান করুন। এটিই হল ইস্তেখারার হাকীকত।

ইস্তেখারার জন্য দুটি কাজ করণীয় বলে সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে। দু’ রাকাত নামায আদায় করা এবং ইস্তেখারার প্রসিদ্ধ মাসনূন দুআটি মনোযোগের সাথে পড়া।

সময়ের স্বল্পতা বা অন্য কোনো কারণে এই দু’টি কাজ সম্ভব না হলে তিনবার বা সাতবার এই দুআ পড়েও ইস্তেখারা করা যায়, اللهم خر لي واخترلي (ইবনুস সুন্নী, হাদীস : ৫৯৭, ৫৯৮) অতঃপর যে দিকে কলবের ইতমিনান হবে আল্লাহর উপর ভরসা করে সেই কাজ আরম্ভ করবে।

এভাবে আমল করলে ইস্তেখারা হয়ে যাবে। উল্লেখ্য যে, এই আমল করার জন্য শরীয়তে নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। রাত বা দিনের যেকোনো সময় তা করা যায়। কিন্তু অনেকে মনে করে, ইস্তেখারার জন্য ঘুমাতে হয় কিংবা রাত্রি বেলায় ঘুমানোর আগেই শুধু ইস্তেখারা করা যায়।

আবার অনেকে মনে করে, স্বপ্ন দেখলেই ইস্তেখারা পূর্ণ হবে। আসলে এর কোনোটিই ইস্তেখারার জরুরি কোনো বিষয় নয়; বরং রাত-দিনের যে সময় নামায পড়া যায় তখনই দুই রাকাত নামায ও নির্দিষ্ট দুআটি পড়ে ইস্তেখারা করে নেওয়া যায়।

সূত্র: মাসিক আল কাউসার

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ