রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

৬ মাসে ভারতে ধর্ষণের শিকার ২৪ হাজার শিশু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ছয় মাসে ভারতজুড়ে ২৪ হাজারের বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শীর্ষে রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। সেখানে ছয় মাসে ৩,৪৫৭টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশু ধর্ষণে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ছয় মাসে সেখানে ১৫৫১টি শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এফআইআর জমা পড়েছে।

গেলো শুক্রবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট একের পর এক এ জাতীয় ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আদালতের রেজিস্ট্রিকে এ নিয়ে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির জন্য এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতির নির্দেশেই আদালতের রেজিস্ট্রি ভারতজুড়ে শিশু ধর্ষণের তথ্য জোগাড় করে হিসেব করে। সেখানেই ছয় মাসে ২৪ হাজারের বেশি ধর্ষণের পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের চরম উদাসীনতার জেরেই সুপ্রিম কোর্টকে এ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ২০১৯-এর ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৪,২১২টি শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু মাত্র ৯১১টি মামলায় বিচার শেষ হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশে সবথেকে বেশি ঘটনা ঘটলেও মাত্র ৩ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই কারণেই কি সরকার ২০১৬ থেকে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো-র পরিসংখ্যান ধামাচাপা দিয়ে রেখেছে?

শিশু ধর্ষণে প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের পরেই রয়েছে কংগ্রেসশাসিত মধ্যপ্রদেশ আর রাজস্থান। তার পর চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ।

রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর যুক্তি, গোবলয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ফারাক হল, ওই সব রাজ্যে অনেক ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছয় না।

নিচু জাতের কোনও পরিবারে এ ঘটনা ঘটলে পুলিশ এফআইআর নেয় না। এ রাজ্যের ছবি তা। এখানে এফআইআর নেওয়া হয়।তাই সংখ্যাটা বেশি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ