আওয়ার ইসলাম: ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের বয়ানের বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
রবিবার (৩১ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনে ১৫ জন বক্তার নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ, জঙ্গিবাদ, গণতন্ত্রবিরোধী ও দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী বয়ান দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত ১৫ জন বক্তা হলেন - ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম, জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসার শাইখুুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া, মোহাম্মদপুরের মুহতামিম মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, আবদুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ, মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদী, মুজাফফর বিন বিন মুহসিন, মতিউর রহমান মাদানী, মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সিফাত হাসান, দেওয়ানবাগী পীর, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, হাফেজ মাওলানা ফয়সাল আহমদ হেলাল, মোহাম্মদ রাক্বিব ইবনে সিরাজ।
সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাকে নিয়ে বিষোদ্গার, নারীদের পর্দা করা নিয়ে কটূক্তিসহ প্রত্যেক বক্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদনটিতে ওয়াজের ভিডিও লিংকসহ আলাদা আলাদা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও, মাহফিলে বক্তাদের মধ্যে যারা চুক্তিভিত্তিক অর্থগ্রহণ করেন তারা আয়কর দিচ্ছেন কিনা তা দেখা ও দেশবিরোধী বক্তব্য দিলে আইনের আওতায় আনাসহ ছয়টি সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ (ইফাবা), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এটি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বক্তাদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবসহ ওয়াজ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬ সুপারিশ
সূত্র: বাংলাট্রিবিউন
আরএম/