হামিম আরিফ
বাংলাদেশ থেকে যেসব কওমি মাদরাসা পড়ুয়া উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে যেতে ইচ্ছুক তাদের ভিসা প্রসেসিং চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) ইসলামিক ফাইন্ডেশনের উপপরিচালক শাইখুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদের প্রচেষ্টায় একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে দেখা করলে তিনি বিষয়টি সুরাহার তাগিদ দেন।
এ বিষয়ে ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ আজ এক ফেসবুক স্ট্যাসে জানান, আলহামদুলিল্লাহ! আমি ড. মুশতাক আহমদ ও আমাদের মুহতামিম মাওলানা মজিবর রহমান অনেক দিন থেকে পড়াশুনার উদ্দেশ্যে দেওবন্দ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা লাভের বিষয়টি চিন্তা করে আসছি। আমাদের বিশিষ্ট বন্ধু মাওলানা ওমর ফারুক বিষয়টি পিএম অফিসের মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম স্যারকে অবহিত করলে তিনি সদয় হন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সচিব শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
অতপর আমরা ৬ সদস্য মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে ‘কওমী শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় অধ্যয়নের নিমিত্ত স্টুডেন্ট ভিসা চালু করা’ বিষয়ে লিখিত আবেদন পত্রসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সাথে দেখা করলে তিনি স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, হাই কমিশনার অব ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ হাই কমিশন দিল্লি, ডেপুটি হাই কমিশন কলকাতাসহ সকলকে লিখিত নির্দেশ দেন।
মাওলানা মুশতাক আহমদ আরও জানান, সচিব মহোদয় মৌখিকভাবে বলে দিয়েছেন, আপনারা দেওবন্দের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আগ্রহীদের যথানিয়মে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে বলুন। এ ব্যাপারে তারা কোথাও আইনগত সমস্যায় পড়লে আমাদের অবহিত করবেন। আমরা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় ড. মাওলানা মুশতাক আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন থেকেই ফিকির করছিলাম। আল্লাহ পাকের মেহেরবানিতে আমরা অনেক দূর এগুতে পেরেছি।
তিনি বলেন, যারা দেওবন্দ পড়তে যেতে আগ্রহী তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এখন থেকে ভিসার আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কোথাও বাধার শিকার হলে আমাদের তাৎক্ষণিক জানালে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করবো ইনশাল্লাহ।
পীরে কামেল ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ বলেন, দেশভাগের পর বাংলাদেশ থেকে দেওবন্দে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কেউ পড়তে যেতে পারেনি। সরকারি স্বীকৃতির পর এ বিষয়টির সুরাহা হলে একটি যুগান্তকারী কাজ হবে ইনশাল্লাহ।
আরআর