শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


বিদেশি কূটনীতিকদের উইঘুর ‘প্রশিক্ষণকেন্দ্র’ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ চীনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের প্রতি উইঘুরদের কথিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিদর্শন করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ মাসে ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো’ পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, লেবানন, মিসর, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, লাওস, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি এবং গ্রিসের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।

এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলা, কিউবা, মিসর, কম্বোডিয়া, রাশিয়া, সেনেগাল ও বেলারুশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের পরিদর্শন শেষ হয়েছে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি।

সূত্রের খবরে উল্লেখ, পরিদর্শনে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, মরক্কো, মিসর, আলজেরিয়া, সৌদি আরব ও গ্রিস কোনও জবাব দেয়নি। এদিকে, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর ও তুর্কমেনিস্তান কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আর কম্বোডিয়া এ ধরনের আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। লেবানন এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে। একইভাবে পরিদর্শনে যাবে না বলে জানিয়েছে জর্জিয়াও।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ, কথিত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে অন্তত ১০ লাখ মুসলিম উইঘুর, কাজাখ, উজবেক ও অন্য জনগোষ্ঠীর মানুষকে বন্দি রেখে জীবনযাপনে বাধ্য করছে চীন সরকার।

চীনের ওই কেন্দ্রগুলোতে আগে বন্দী ছিলেন এমন কয়েকজন জানিয়েছেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শে দীক্ষিত হওয়ার নামে ক্যাম্পগুলোতে তাদের ওপর চরম নির্যাতন চালানো হয়। তবে প্রথমে চীন এমন আটক শিবিরের কথা অস্বীকার করেছিল। কিন্তু পরে চীন এগুলোকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করেছে।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ