শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


মার্চে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে ২ নং জোন খিলগাঁওয়ের ইমাম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার খিলগাঁও চৌরাস্তা মাখজানুল উলুম মাদরাসায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ইমাম সম্মেলনে খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, মুগদা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, পল্টন, রমনা ও শাহবাগ থানার মসজিদ সমূহের ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা নুরুল ইসলাম।

জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, ছারছীনা পীর মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী, সেগুনবাগিচা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা ইউনুছ ঢালি, সচিবালয় মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ওমর ফারুক।

সুপ্রিম কোর্ট মসজিদের খতিব মাওলানা সালিম উল্লাহ, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মাসুদ আহমদ মাওলানা রাশেদ বিন নুর মুফতি আব্দুর রশিদ সহ খতমে নবুওয়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইমামদের উদ্দেশ্যে আল্লামা আশরাফ আলী বলেন: মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী না মানার দায়ে কাদিয়ানীরা কাফের। আমাদের গুরু দায়িত্ব হলো হলো এই বিষয়টি নিজে তত্বভিত্তিক ভালো করে জানা, মুসল্লিদের কে বোঝানো এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা, যাতে সরকার তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। যখনই কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা দেখা দিয়েছে তখনই 'খতমে নবুওয়াত' আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আন্দোলন কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অবিলম্বে পৃথিবীর অন্যান্য ৪২টি দেশের ন্যায় এদেশেও কাঁদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা না করা হলে সরকারকে তা করতে বাধ্য করা হবে।

এক পর্যায়ে আল্লামা নুরুল ইসলাম কাদিয়ানীদের ভ্রান্ত দাবি সমূহ প্রমানসহ উপস্থিতি ইমামদের সম্মুখে তুলে ধরেন। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব-দুঃখী ও সরলমনা মানুষকে অর্থ সম্পদের লোভ দেখিয়ে কাদিয়ানীরা তাদের ঈমান হরণ করছে।

সে হিসেবে তারা পঞ্চগড়কে সবচেয়ে উপযুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের প্রপাগান্ডা চালানোর লক্ষ্যে কয়েকটি এলাকা ক্রয় করে আহমদ নগর নাম দিয়েছে। তিনি তাদের প্রোপাগান্ডা কে নির্মূল করার জন্য পঞ্চগড়সহ দেশব্যাপী খতমে নবুয়তের উদ্যোগে মহাসম্মেলনের প্রস্তাব দেন।

ইমাম সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারা কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা, তাদের সমস্ত প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা, ইসলাম ও মুসলমানদের পরিভাষা তাদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ও প্রতিটি সমাজে তাদের বয়কট করা সহ তাদের যাবতীয় অপতৎপরতা বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি প্রস্তাব জানান।

সম্মেলনে উপস্থিত শতাধিক ইমামদেরকে খতমে নবুয়াত বিষয়ের বই পুস্তক ও লিফলেট হাদিয়া দেয়া হয়।

তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে ৩নং জোনের ইমাম সম্মেলন আগামী ২৩ শে ফেব্রুয়ারির মোহাম্মদপুর জামিয়া মোহাম্মদীয়াই অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ