শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

৪ বছর স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও বেতন তোলেন নিয়মিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত বেতন তোলার অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুর চিরিরবন্দরের রাজাপুর এসসি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, সহকারী শিক্ষক হয়েও চার বছর ধরে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিত থেকেই নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন স্কুল শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায়।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সরেজমিনে উপজেলার রাজাপুর এসসি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে সহকারী শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায়কে পাওয়া যায়নি। শিক্ষক হাজিরা খাতায়ও তার অনুপস্থিতির চিত্র পাওয়া গেছে।

সহকারী শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায় চিরিবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও তার স্ত্রী তরুবালা রানী রায় চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদিকা।

প্রধান শিক্ষক আরোও জানান, ধর্ম শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায় স্কুলে অনুস্পস্থিত থেকেও কিছুদিন পরপর এসে এক সঙ্গে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এবং তিনি তার বিষয়ে ক্লাস নিতে তার বদলি হিসাবে ৫ হাজার টাকা বেতন দিয়ে সঞ্জয় কুমার নামে এক ছেলেকে রেখেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রদীপ কুমার রায় স্কুল তো ফাঁকি দেয়ই, সেটা বলতে গেলে হুমকি আসে। তাই আমরা আর কিছু বলতে পারি না।

ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রদীপ স্যারকে আমরাতো স্কুলে দেখিনা। তার বদলে ধর্ম ক্লাস আমাদের সঞ্জয় স্যার নেন। তবে প্রদীপ স্যার কিছুদিন পরপর স্কুলে আসে। কিন্তু ঘন্টা খানেক থেকে চলে যায়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘আর কিছুদিন পরে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এতদিন চলে গেলো কোনো অভিযোগ নেই। এ সময় কেন এমন হলো বুঝতেছিনা। নির্বাচনের আগে আমার সাথে কেউ চক্রান্ত করছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মন্জুর হক বলেন, স্কুলের শিক্ষকের ছুটির বিষয়টা প্রধান শিক্ষক দেখে, আমরা তো দেখি না। আমরা শুধু মনিটরিং করি। তবে ওই প্রধান শিক্ষককে আমি ডাকছি তার সাথে বসে সব আলোচনা করে বিষয়টা দেখবো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ