শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


‘নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে প্রকাশ্যে কাদিয়ানী ইজতেমা করার দুঃসাহস কীভাবে দেখায়’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অবিলম্বে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ‘জাতীয় ইজতিমার নামে প্রকাশ্য সম্মেলন বন্ধের দাবী জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

একইসাথে কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংখ্যালঘু অমুসলিম ঘোষনার দাবী জানান হয়েছে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ দাবী জানান হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমীর মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসিচব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা তোফাজ্জল হোসনে মিয়াজী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, এডভোকেট মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল, অধ্যাপক কে এম আলম, মাস্টার সাইফ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, হাজী নূর হোসেন প্রমুখ।

বৈঠকে গ্রহীত এক প্রস্তাবে বলা হয়, ভারতের মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারী কাদিয়ানী সম্প্রদায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না।

তারা ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নাম দিয়ে মুসলিম নামের ছদ্মাবরণে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী অপতৎপরতায় লিপ্ত। বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদের সংখ্যালঘু অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করে ইসলাম ও মুসলমানদের নামে তাদের সবধরনের তৎপরতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই কাদিয়ানী সম্প্রদায় কর্র্তৃক বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের আহমদনগরে আগামী ২২, ২৩, ২৪ ফেব্রুয়ারী ’জাতীয় ইজতিমা’ নামে প্রকাশ্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। কাদিয়ানীদের ঈমান বিধ্বংসী অপতৎপরা সম্পর্কে সরকার ওয়াকেবহাল থাকার পরও নব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে ’জাতীয় ইজতিমা’ নাম দিয়ে প্রকাশ্যে কাদয়িানী সম্মেলন আয়োজনের দু:সাহস কিভাবে দেখায়। এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোনভাবেই কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বরদাস্ত করবে না।

সরকারকে অবিলম্বে মুসলমানদের ঈমান বিধ্বংসী কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের ঐ সম্মেলন বাতিল করতে হবে। একই সাথে মহানবী হয়রত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা ও তাদের ঈমান বিধ্বংসী সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

কাদিয়ানীদের মদদ দাতা দেশী-বিদেশী চক্রকেও চিহ্নিত করতে হবে। এই কাদিয়ানী সম্মেলনকে কেন্দ্রকরে যদি কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তার সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ