বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত?

গরুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ তবু দুধের দাম কেন চড়া?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্র থেকে

গাড়ি থেকে নেমে দশ মিনিট হাঁটার পর পৌঁছলাম কেন্দ্রীয় গো প্রজনন কেন্দ্রে। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠানের আয়তন ৭৯২.৮৭ একর।

ঢাকার অদূর সাভারে বিশাল এই জায়গার অধিকাংশই প্রাকৃতিক ঘাসের চাষ হচ্ছে। দেশীয় ঘাসের সাথে সাথে উন্নত প্রজাতির বিদেশি ঘাসও চাষ করছেন শ্রমিকরা।

‘ভালো মানের ঘাসের মাধ্যমেই পর্যাপ্ত দুধের চাহিদা মেটানো সম্ভব’। ‘খর আর ভুষি নয়, খাওয়াতে হবে সতেজ ঘাস, তবেই মিলবে স্বাস্থ্যবান ষাঁড়’। -এরকম নানা স্লোগান দিয়ে প্ল্যাকার্ড ঝোলানো খামারজুড়ে।

পশুপাখি আমাদের জীবন চলাচলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তার মধ্যে বাঙালির সুখ, দুঃখের বন্ধু গরু। এখনও গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতে অন্তত একটি হলেও গোয়াল ঘর রয়েছে।

এ গোয়াল ঘরই শারীরিক পুষ্টির পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছতাও এনে দিচ্ছেন অনেককে। এজন্য সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করেছিলেন।

নানা বিষয়ে সরকারের সাথে বিরোধীদের বাকবিতণ্ডা দেখা দিলেও এই প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।

দুধের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সাধ্যের বাইরে হওয়ায় নিয়মিত দুধ পান করতে পারছেন না নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবার। তবে কিছু কর্মপন্থা পরিবর্তন করলেই এই অবস্থার উন্নতি সম্ভব বলে মনে করছেন পশুবিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, ‘আমাদের দেশে পশু পালনে মানুষের উৎসাহ থাকলেও কর্মপন্থায় ত্রুটি রয়েছে। স্বাস্থ্য সম্মতভাবে পশুর পরিচর্যা না করলে আশা অনুযায়ী সাফল্য আসবে না। এজন্য খামারগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, নিয়মিত কৃমিনাষক ওষুধ সেবন করাতে হবে। পাশাপাশি ভালো গাভি বা ষাড়ের জন্য উন্নত প্রজাতির পশুর বীজ দিতে হবে।’

কর্মকর্তার কথা শুনে ইচ্ছে হলো ঘুরে দেখি কীভাবে তারা পশু পালন করেন। উন্নত প্রজাতির পশু বলতে কী বুঝাতে চাচ্ছেন?

সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম বিষয়টি আসলেই বাস্তব। পশুর পরিচর্যা ভালোভাবে করতে পারলে খামারিদের মুখেও আনন্দের হাসি ফুটবে। তিনচার কেজি দুধ নিয়ে বাজারে বসতে হবে না, বরং ভালোভাবে পরিচর্যা করলে সে পশু থেকে মিলতে পারে আট-দশ কেজি দুধ।

কুরবানির সময় কিছু ইনজেকশন দেয়া পশু হাঁটে উঠে। যা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত স্বাস্থ্যবান করে তুলতে চাইলে, ইনজেকশন নয় বরং এর সমাধান সঠিক পরিচর্যা। তাতে বিক্রিও হলো চড়া মূল্যে, মানুষকেও ঠকানো হলো না।

গবাদি পশুর চাহিদা অনুযায়ী স্বয়ংসম্পূর্ণ আমাদের বাংলাদেশ। তবে ক্রয়ক্ষমতা সবার হাতের নাগালে নয়। এর সমাধান হতে পারে কেবলই উত্তম পরিচর্যা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ