শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে আইন বাধা নয়: দুদক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গত বছরের আগস্টে পাস হওয়া নতুন সরকারি চাকরি আইন দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে কোনো বাধা নয় বলে মনে করে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

কর্মকর্তাদের মতে, হাতেনাতে গ্রেপ্তার হওয়া দুর্নীতিবাজরা সরকারি কর্মকর্তার মর্যাদা হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে তাদের গ্রেপ্তারে সরকারি পূর্ব অনুমোদনের দরকার নেই। তবে এ ব্যাপারে ভিন্নমতও আছে অনেকের।

দশ জানুয়ারি ঘুষ নেয়ার সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার হন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রেভিনিউ অফিসার নাজিম উদ্দিন। ভাঙ্গার জন্য আনা জাহাজের ছাড়পত্রের জন্য ঘুষ নিচ্ছিলেন তিনি।

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এ আছে, ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালত গ্রহণ না করা পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই নাজিম উদ্দীন গ্রেপ্তার হন নগদ ৬ লাখ টাকাসহ। আর গ্রেপ্তারের পক্ষে যুক্তিও আছে দুদক কর্মকর্তাদের।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী বলেন, "ওই আইনটি আমাদের উপর ওভাররুল হবে না। কারণ আমরা কোন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করব না। আমরা গ্রেপ্তার করব একজন ঘুষখোর, ঘুষদাতা-গ্রহিতা, ঘুষ লেনদেন জড়িত, তখন তার গায়ে সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় থাকে না।সরকারি কর্মচারীর যে মর্যাদা, তার যে অঙ্গিকার, কমিটমেন্ট- সেটা থাকে না।"

আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন আইন গেজেট আকারে প্রকাশের পরও এভাবে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা গ্রেপ্তার হলে বাড়বে জটিলতা।

আমিরুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি আমিরুল ইসলাম বলেন, একই দেশের নাগরিকদের জন্য দুই রকম আইন হতে পারে না। আমাদের সংবিধান তা সমর্থন করে না। সংবিধানে সকল নাগরিককে সমমর্যাদা দেয়া হয়েছে।কাউকে বেশি অধিকার দেয়া হয়নি।

তবে টিআইবির অভিযোগ, সরকারি কর্মচারীদের আলাদা চোখে দেখার কোন সুযোগ নেই। তাই নতুন আইন দ্রুত বাতিলের দাবী তাদের।

টিআইবির নির্বাহী মহাপরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের প্রক্ষিতে পূর্ব অনুমতি পাওয়া সম্ভব হবে এবং সেটা তদন্তের জন্য সহায়ক হবে এটা ভাবাটা খুবই কঠিন। আমি এজন্য মনে করি এই আইন দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজের পথে বড় অন্তরায় হবে।

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সব নাগরিকের জন্য অভিন্ন আইন রাখার কথা বলছে টিআইবি।


সম্পর্কিত খবর