ইসমাঈল আযহার: শহুরে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হল বাসা ভাড়া করা। একটি বাসা ভাড়া করার জন্য মানুষের বিভিন্ন ঝায়-ঝামেলার সম্মুখিন হতে হয়। অনেকে বাসার ভাল মন্দ বাছ-বিচার করতে পারেন না। বাসার নেয়ার পর দেখা দেয় নানান সমস্যা।
একটি বাসার অনেকগুলো দিক থাকে। সব সময় যেমন ভাল বাসা পাওয়া যায় না তেমন একটি বাসার ভেতর সব রকম সুবিধাও পাওয়া যায় না। বাসা ভাড়ার সময় কয়েকটি দিকে খেয়াল রাখলে আশা করা যায় পরবর্তীতে বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না।
১. প্রথমে যে জিনিসটি খেয়াল করতে হবে সেটা হল রাস্তা। সড়ক পথের যোগাযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি পখের বাসার সঙ্গে ভাল না হয় তাহলে মাল সামনা বহন করে বাসা পর্যন্ত নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। বাড়িতে বিভিন্ন সময় আমাদের ভারি অনেক জিনিসের প্রয়োজন পড়ে সেগুলো বাসা পর্যন্ত পৌঁছতেও যথেষ্ট কষ্ট হবে। এবং আপনার গাড়ি থেকে থাকলে সেটিও রিপত্তহীন হয়ে পড়বে।
২ . বাসায় জিনিসপত্র ওঠানামার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না সেটা খেয়াল করুন। আপনার ঘরের ভারি সামগ্রি ওঠাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। আপনার জিনিসপত্র বাসাতে আটবে কি না সেটা মাথায় রাখতে হবে। নতুবা আত্মতৃপ্তি হবে না।
৩. আপনার ভাড়া করা বাসাটির দেয়ালে নজর রাখুন। দেয়ালে ছোপ ছোপ ভেজা দাগ আপনার খারাপ লাগার কারণ হবে। আমার কখনো ঘষা লেখে আপনার আপনার বা পরিবারের ছোট সদস্যদের জামা কাপুড় নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভেজা ছোপ ছোপ দাগে স্বাস্থ্যহানীরও সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. বাসায় কম্পিউটার, ফ্রিজ, বা এ ধরণের জিনিস চালানোর জন্য আপনার বাসায় অনেক চকেটের দরকার হয়। েএগুলো পর্যাপ্ত আছে কি না দেখে নিন। অনেক সময় এগুলো আদালা করে লাগানোর ফলে আপনার বাচ্চা সক খেতে পারে।আবার লম্বা টার টেনে লাইন নিলে অনেক রকম বিপদের সম্মুখিন হতে হয়। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাও কঠিন হয়ে পড়ে।
৫.অনেকেই বলেন শহুরে জীবনে প্রতিবেশি কেমন সেটা দেখার দরকার নেই। কিন্তু গ্রামীণ জীবনের মতোই শহুরে জীবনে প্রতিবেশির দিকে নজর রাখতে হবে। কারণ আপনার প্রতিবেশি ভাল হলে শান্তিতে বাস করতে পারবেন। প্রতিবেশির কারণে ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়।
এটা আপনাকে পীড়া দেবে আজীবন। ভালমন্দ সবখানে আছে তবু ভাল প্রতিবেশি দেখে বাসা ভাড়া নিলে এর অনেক উপকারিতা আছে। অতএব এই বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ।
-এটি