আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় সে দেশের পুলিশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই আবেদনের বিষয়ে আসামিপক্ষের আপত্তির বিষয়ে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ দিন ঠিক করেন। ওইদিন এ মামলার সব আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে আদালতকে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, ‘মামলার বিচার দেশে ও বিদেশে হচ্ছে। বিদেশিরা যে তদন্ত করেছেন, সে বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘এফবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষীদের বিষয়ে শুনানির পেছানো হোক এবং এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে আপত্তি দাখিল করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সব আসামির উপস্থিতিতে মামলাটি শুনানি করা হোক।’
শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
কেপি