শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


‘ইজতেমা ময়দান দ্রুত অবমুক্ত করার দাবি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রোকন হারুন: টঙ্গির ইজতেমা ময়দানকে সবগুজারির জন্য দ্রুত অবমুক্ত করে পূর্বাবস্তায় ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কাকরাইল মারকাজের মুরুব্বি ও উলামায়ে কেরাম।

একই সঙ্গে টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে তাবলীগের সাথী, মুসল্লি ও মাদরাসার ছত্রসহ আলেমদের ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি করে উস্কানিদাতাদের দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশার আলীর সহসভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেফাকের মহাপরিচালক জুবায়ের আহমাদ চৌধুরী, সহসভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবদুল হামিদ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মহাসচিব, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী প্রমুখ।

এছাড়াও তাবলীগের জামাতের শুরা সদস্য কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফরুক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সরকারে কাছে ৩টি দাবি পেশ করেন উলামায়ে কেরাম। দাবিগুলি হলো,

ক. টঙ্গি ময়দানকে মসজিদ মাদরাসা সবগুজারির জন্য অবমুক্ত করে ১ ডিসম্বরে হামলা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া৷

খ. ওয়াসিফুল ইসলাম মাওলানা মোশারফ হোসাইন খান শাহাবুদ্দিন নাসিম ও ইউনুস সিকদারকে স্থায়ীভাবে কাকরাইল থেকে বহিস্কার করা।

গ. টঙ্গির ময়দানে হামলার মূল নায়ক উল্লিখিত চারজনসহ মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আব্দুল্লা মানসুর ও মাওলানা মনির বিন ইউসুফ গংকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা৷

২. আগামী ৭ ডিসম্বর শুক্রবার সারাদেশের প্রত্যেক মসজিদে জুমার সময় টঙ্গি ময়দানের হামলা সম্পর্কে আলোচনা করা এবং জুমাবাদ বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করা৷

৩. আগামী ১১ ডিসম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদরাসায় সকাল ১০ টায় আল্লামা আহমাদ শফীর সভাপতিতে দেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেম ওলামা ও তাবলিগি মুরুব্বিদের সাথে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে৷

ইজতেমায় নৃশংস হামলাকারীদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে ১১ ডিসেম্বরের সভায় পরবর্বতী বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে৷

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গিতে ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতের জন্য অবস্থান করা তাবলীগের সাথী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় সাদপন্থীরা। এ হামলায় ১ জন নিহত এবং সহস্রাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

যারা এখন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক।

ইজতেমায় সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্তদের বিচার ও কাকরাইল থেকে বহিষ্কারের দাবি

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ