শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার

‘বিশ্ব ইজতেমা বানচাল করাই ছিল ইজতেমায় হামলাকারীদের টার্গেট’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী। বিশিষ্ট আলেম, শিক্ষাবিদ। রাজধানীর অন্যতম সেরা মাদরাসা মিরপুর-১৪ জামেউল উলুমের শাইখুল হাদিস ও প্রিন্সিপাল। একাধিক মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা। ইলমে দ্বীন শিক্ষার প্রসারের সাথে সাথে দাওয়াত ও তাবলিগেরও একনিষ্ঠ কর্মী।

সম্প্রতি তাবলিগ জামাতের একটি বিদ্রোহী (এতাআতি) গোষ্ঠী বিশ্ব ইজতেমাস্থল টঙ্গী মাঠের গেট ভেঙ্গে মাঠের পাহারারত, ইবাদাতরত, অবস্থানরত তাবলিগের নিরিহ মুসল্লি, মাদরাসার ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা যাকে পেয়েছে সবাইকে সশস্ত্র হামলা করেছে।

এসব নিয়ে তার সাক্ষাৎকার নেন হাসান আল মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন মাওলানা আসাদুল্লাহ ও মাওলানা আকীদুল ইসলাম।

আওয়ার ইসলাম: দাওয়াত ও তাবলিগের ইতিহাসে এমন নৃশংসতার ঘটনা কখনো তো ঘটেনি। যারা এমন নৃশংসতা চালালো, তারা এতো উগ্রবাদী হয়ে ওঠলো কিভাবে, কোন উদ্দেশ্যে?

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: সূচনাটা মূলত ভারতের দাওয়াত ও তাবলিগের নিজামুদ্দিন মারকাযে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিতর্কিত বিষয়গুলো কেন্দ্র করেই মূলত এই দ্বন্দ্বটা। তো ওখানে নানাভাবেও যখন দ্বন্দ্বের নিরসন হয়নি, তখন মারকায হয়ে যাই দুই ভাগ। মারকাযে হয় মারামারিও।

সে মুহূর্তে মাওলানা আরশাদ মাদানী ছিলেন এতেকাফে। তিনি এতেকাফ শেষ করে এসে দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিতর্কিত ব্যক্তিগণ তা আমলে নেননি।

সেখানকার স্রোত এসে পড়ে আমাদের বাংলাদেশেও। বিতর্কিত ব্যক্তিদের অনুসারীরা এদেশেও বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা করে। আর এভাবে তারা উগ্রতার পথে হাঁটে।

শেষমেশ তারা যখন দেখলো বিশ্ব ইজতেমা ওলামায়ের কেরামের নেতৃত্বে মূলধারা তাবলিগের হাতে চলে যাচ্ছে, তখন তারা সেটি বানচাল করার অপচেষ্টায় টঙ্গী মাঠে হামলা করে।

আওয়ার ইসলাম: নৃশংস এ হামলার নেপথ্যে কাদের ইন্ধন বলে মনে করেন?

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: মুষ্টিমেয় কিছু লোক। ওরাই এই হামলার নেপথ্যে ইন্ধন যুগিয়েছে।

আওয়ার ইসলাম: টঙ্গী মাঠে হামলা সম্পর্কে কেউ কেউ এও বলে থাকেন, তারা (এতাআতি পন্থী) ইজতেমা মাঠ দখল করতেই এমন হামলা চালিয়েছে। তো, ইজতেমা মাঠের হকদার আসলে কারা?

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: হকের ওপর আছেন ওলামাবান্ধব তাবলিগ জামাত, এ কারণে তাদের হাতেই এ জিম্মাদারী সবসময় থাকতে হবে। তাছাড়া উলামায়ে কেরাম ছাড়া দীন রক্ষার মতো উত্তম আর কে আছে।

আর উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত রায় হলো মাওলানা সাদ কান্ধলভী এ মুহূর্তে  ভুলের উপর আছেন। তার অনুসরণই যেখানে নাজায়েজ বলছেন উলামায়ে কেরাম। তার পন্থা অবলম্বন করে তো ইজতেমা হতে পারে না।

আওয়ার ইসলাম: এতাআতিরা প্রচার করে, ইজতেমা মাঠ দখল করতে মাদরাসার ছাত্রদের এখানে বাধ্য করে আনা হয়েছে...

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: ছাত্ররা প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা মাঠে কাজ করতে যায়। মাঠে কাজ করতে আসে তাবলিগের অন্যান্য সাথীরাও। সে সুবাধে ছাত্ররাও কাজের অগ্রগতির জন্য ইজতেমা মাঠের কাজে শরিক হয়।

অতীতেও তারা এভাবে ইজতেমা মাঠের কাজ করেছে। এটি আমাদের ঐতিহ্য। দীনি কাজ এখানে তো জোর জবরদস্তির কিছু নেই। তারা এ ধরনের প্রচার করে ভুল করছেন।

আওয়ার ইসলাম: বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এতাআতিপন্থী স্টাফ বহিস্কারের খবর শোনা যাচ্ছে। এটা কতটা জরুরি?

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: প্রতিষ্ঠান চলে কিছু নিয়ম নীতি মেনে। তো, প্রতিষ্ঠানের নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে প্রতিষ্ঠান তার শৃঙ্খলা রক্ষার প্রতিই মনোযোগ দেবে।

আওয়ার ইসলাম: আওয়ার ইসলামকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মাওলানা আবুল বাশার নোমানী: আপনাদেরও ধন্যবাদ। আপনাদের মেহনত কবুল হোক।

ইশতেহারে শিক্ষা নিয়ে যা দেখতে চায় ইসলামি ছাত্র নেতারা

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ