মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫

শিরোনাম :

‘কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম।

আজ শনিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের মরহুম খতীব ‘আল্লামা উবায়দুল হক রহ. এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক’ আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।

মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেন, খতীব উবায়দুল হক রহ. ছিলেন বাংলাদেশে মুসলমানদের অভিভাবক। এদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যখনই কোন ষড়যন্ত্র হয়েছে, তিনি বজ্রকণ্ঠে তার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।

বিশেষ করে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান ছিল অত্যন্ত সুদৃঢ়। তিনি আজীবন কাদিয়ানী ফিতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। বিশেষ করে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার জন্য তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

তাই আমরা আজ খতীব সাহেবের স্মরণ সভা থেকে উনার অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন- কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, ইসলামী আন্দোলন ও সংগ্রামে খতীব উবায়দুল হক রহ. এর অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন মজলুমানের একবিপ্লবী কণ্ঠ। দেশপ্রেমিক ঈমানদার তৌহিদী জনতার কল্যাণকামী একজন মহান অভিভাক। সকল বাধা উপেক্ষা করে শাসকগোষ্ঠীর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তিনি ইসলামের আওয়াজকে উচ্চকিত করতেন।

তিনি বলেন, খতীব উবায়দুল হক রহ. ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে জাতির দুর্দিনে হুংকার দিয়ে গর্জে উঠতেন। তাঁর মতো বলিষ্ঠ অভিবাবকের শূন্যতা আজো পূরণ হয়নি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আল-হাইআতুল উলইয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, আমি আমার জীবনে মরহুম খতীব আল্লামা উবায়দুল হক রহ. এর মত সর্বদিক থেকে এতো বিচক্ষণ আলেম দেখিনি। তিনি ছিলেন আমাদের আস্থার প্রতীক। আমেলদের ঐক্যের বিষয় তিনি ছিলেন সব সময় সচেষ্ট।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নর মিসবাহুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা সফিউল্লাহ, মাওলানা সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী (ছারছীনা মেজো পীর), মাওলানা মহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ডক্টর হারুনুর রশীদ, মাওলানা মাসউদ আহমদ, ইনসাফ সম্পাদক সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মুফতী ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা খালেদ বিন নূর প্রমুখ।

উল্লেখ্য, খতীব উবায়দুল হক রহ. ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর ৮০ বছর বয়সে ক্ষণস্থায়ী জীবন তুচ্ছ করে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে চলে যান। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৭৪ কিলোমিটার দূরে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বারঠাকুরিতে ১৯২৮ সালের ২ মে, শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

প্রায় ২৩ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন খতীব উবায়দুল হক রহ.।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ