শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

বিদ্যুতের মুখ দেখলো সন্দ্বীপবাসী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো ১৫ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সাথে সংযুক্ত করা হয় সন্দ্বীপকে। এ ধরনের সাবমেরিন প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়াতে এই প্রথম।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সন্দ্বীপের আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, গতকাল বিকেলে সন্দ্বীপে এনাম নাহার ৩৩/১১ কে.ভি সাব স্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়। কোনো প্রকার ত্রুটি ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

‘পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে ৩ হাজার গ্রাহক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে। গ্রিড সংযোগের অধীনে বিতরণ সংস্থা ইতোমধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৪০০টি বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এখন সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দৈনিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৯ সালে সন্দ্বীপে ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহের আশা করা যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো বিদ্যুতের আওতায় আসায় সন্দ্বীপের বাসিন্দারা মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও কার্যাদেশ সম্পন্ন হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটিটির মাধ্যমে ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে।

প্রথমে সন্দ্বীপের বাউরিয়া বেড়িবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে ১০ ফুট নিচ থেকে ড্রেন করে টানা হয় সাবমেরিন ক্যাবল। ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ওয়াটার জেটের সাহায্যে সন্দ্বীপ চ্যানেল নদীর তলায় মাটির ১০ থেকে ২০ ফুট গভীরে দুটি সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর কাজ।

জাতীয় গ্রিড থেকে ১১ কেভি (কিলো ভোল্ট) ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি তার সীতাকুণ্ডের বাকখালী সাবস্টেশনে আসে। সাবস্টেশন থেকে ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ৩৩ কেভি একত্রিত হয়ে একটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ এসে সংযুক্ত হয় বাউরিয়াঘাট এলাকায় স্থাপন করা ট্রান্সমিটারে।

সেখান থেকে আবারো ১১ কেভি করে ভাগ হয়ে ৩টি তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে এনাম নাহারের পশ্চিমের সাবস্টেশনে। ওই সাবস্টেশন থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।

চট্টগ্রাম ৩ ও ৫ আসন চায় খেলাফত মজলিস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ