শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


নরসিংদীর সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫০

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুটি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিন জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় কমপক্ষে ৫০ জন।

শুক্রবার সকালে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী গ্রামে এবং দুপুরে একই উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নের বীরগাও গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, বাঁশগাড়ী বালুয়াকান্দি এলাকার তোফায়েল হোসেন, ও নিলক্ষার বীরগাও এলাকার সোহরাব হোসেন এবং গোপীূনাথপুর এলাকার স্বপন মিয়া।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ সরকারের সমর্থকদের বিরোধ চলে আসছিল।

মার্চে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান শাহেদ সরকার। এর ৪০ দিন পর গত ৩ মে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক।

এরপর প্রতিপক্ষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় শাহেদ সরকার সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শুক্রবার সকালে শাহেদ সমর্থকরা এলাকায় ফিরলে প্রতিপক্ষ সিরাজুল হকের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এরমধ্যে চার জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তোফায়েল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

তোফায়েল সম্প্রতি বাঁশগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী হিসেবে নির্বাচনী পরীক্ষা শেষে ফরম পূরণ করেছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ সুমন মিয়া, মামুন মিয়া ও সুমন মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এরমধ্যে নিলক্ষা এলাকার তাজুল ইসলামের সমর্থকরা বাঁশগাড়ী এলাকার সিরাজুল হককে এবং আবদুল হকের লোকজন শাহেদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে আবদুল হকের সমর্থকরা বাঁশগাড়ীর সংঘর্ষের ঘটনায় অংশ নেওয়ার পর নিজ এলাকায় ফিরে তাজুল ইসলামের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।

এতে তাজুল ইসলামের সমর্থক সোহরাব হোসেন ও স্বপন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয় কমপক্ষে ২০ জন। এদের মধ্যে ১০/১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

নিলক্ষা ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আবদুল হক ও শহীদ মেম্বারের সমর্থকরা অতর্কিতভাবে বীরগাঁও এলাকায় তাজুল চেয়ারম্যানের সমর্থকদের উপর গুলি চালিয়ে হামলা করে।

এতে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত প্রায় ২০ জনের বেশি আহত হয়। তাঁর মধ্যে ১০/১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এই অতর্কিত হামলা এখন টেঁটা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে।

নিলক্ষা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘নিহত সোহরাব হোসেনের লাশ রায়পুরা থানা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

সুষ্ঠু নির্বাচনে সম্পাদকদের সহযোগিতা চাইল ঐক্যফ্রন্ট


সম্পর্কিত খবর