শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


নয়াপল্টনের সংঘর্ষে ৫ মনোনয়ন প্রত্যাশীসহ রিমান্ডে ৩৮

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও আগুনের ঘটনায় করা তিন মামলায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসা পাঁচজনসহ ৩৮ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়ও ২৭ জনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) ৬৫ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পৃথক তিন মামলায় তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী ৩৮ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকী ২৭ জনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

৩৮ জনের মধ্যে তরিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক ও হেলাল উদ্দিনসহ পাঁচজন বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসেন। আর বাকি আসামিরা বিএনপির সমর্থক বলে জানিয়েছেন বিএনপি সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

এর আগে বুধবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও আগুনের ঘটনায় করা তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করে মামলা করে পুলিশ।

অপর পাঁচ নেতা হলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন।

পুলিশের অভিযোগ, তাদের মদদে ও নির্দেশে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে সরকারি কাজে বাধা, জানমালের ক্ষতি, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি পুড়িয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়। ইতোমধ্যে মামলা তিনটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া উইং সামসুদ্দিন দিদার, দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম।

অ্যাডভোকেট নিপুন রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাসি আরও অনেকে।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ২১নং মামলাটি দায়ের করা হয় বিস্ফোরক ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে। ১৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সহস্রাধিক বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিশেষ আইনে করা ২২নং মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৯ জনকে। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জনকে এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনে করা ২৩নং মামলায় ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ২৬ জনকে।

২১নং মামলার বাদী পল্টন থানার এসআই সোমেন কুমার বড়ুয়া। মামলার এজহারে বলা হয়, নির্বাচনী আচরণ বিধির নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রথমে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে ব্যান্ডপার্টি ব্যানার-ফেস্টুনসহ শোডাউন নিয়ে বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে আসে।

এরপর নবীউল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে পৃথক মিছিল শোডাউন নিয়ে আসে। পরে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল সহকারে কার্যালয়ে আসে। তারা নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়ক বন্ধ করে মিছিল ও শোডাউনের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ তৈরি ও যানচলাচল বন্ধ করে।

তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি রুহুল কবির রিজভীকেও জানানো হয়। মাইকেও বলা হয়। এরপর বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে কার্যালয়ের পাশের সড়কে অবস্থান নেয়।

তাদের পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় দাঙা করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। গাড়িতে আগুন দেয়া হয়। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ বাকি দুই মামলার এজহারেও উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই বুধবার (১৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

অর্থমন্ত্রীকে প্রকল্প উদ্বোধনে যেতে দেয়নি নির্বাচন কমিশন


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ