আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ২ কিশোর নিহতের ঘটনায় নিজের কোনও নেতাকর্মী জড়িত নন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ শনিবার সংসদীয় ঢাকা-১৩ আসনের আওতাধীন নবোদয় হাউজিংয় এলাকায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পিকআপ ভ্যানের চাপায় আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭) নামে দুই কিশোর মারা যায়।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের কর্মীরা জড়িত বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
এর পর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানক বলেন, ‘ঘটনাটি সাদেক খানের সমর্থকদের মিছিলে বিশৃঙ্খলা থেকে সৃষ্ট। সাদেক খানের মিছিলে আনা পিকআপ ভ্যানের নিচে চাপা পড়ে তার দুই সমর্থক নিহত হয়েছে।’
স্থানীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আজ আমার কোনও কর্মী-সমর্থকদের মিছিল ছিলো না। সুতরাং সংঘর্ষের ঘটনাটি কোনও রাজনৈতিক ইস্যু নয়।’
নানক আরও বলেন, ‘দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে জড়ানো হয়েছে। এতে আমি বিব্রত ও অসহায় বোধ করছি। অনলাইন পোর্টাল ও টেলিভিশনে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। আমি আশা করি, গণমাধ্যমগুলো ভুল সংবাদ সংশোধন করে প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করবে।’
পুলিশের বরাত দিয়ে নানক বলেন, ‘স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে সংঘর্ষের ঘটনাটি রাজনৈতিক কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তারপরও অনিশ্চিত তথ্যের ওপর নির্ভর করে গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার মোহাম্মদপুরের আদাবরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষের মধ্যে গাড়িচাপায় আরিফ (১৫) ও সুজন (১৭) নামে দুই কিশোরের মৃত্যু ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি পিকআপে করে আসা বেশ কিছু তরুণ লোহার গেটের কাছে এলে বিপরীত দিক থেকে সেই পিকআপ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এরপর সবাই ছোটাছুটি করে। ওই সময় পিকআপভ্যানটি দ্রুত ঘোরাতে গেলে তার নিচে চাপা পড়ে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নির্বাচনে কার স্বার্থে ইভিএম, প্রশ্ন শামসুল হুদার