শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত রাষ্ট্র ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত রাষ্ট্র ইসরায়েল।ঘৃণিত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার মূলে রয়েছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং জীবাণুযুক্ত অস্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি।

ইসরায়েলের এসব কর্মকান্ডের কারণে দেশটির নাগরিকদের জন্য বয়ে এনেছে অমর্যাদা এবং অসম্মান। নিম্নে ইসরাইল ঘৃণিত হওয়ার কিছু কারণ তুলে ধরা হলো-

১. বর্বর আচরণে অভ্যস্ততা: ফিলিস্তিনিদের প্রতি বর্বর আচরণের জন্য ইসরাইল কুখ্যাত। দমন-পীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেই চলেছে। এমনকি ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমবাসীদের অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে, যেখানে তাদের জন্ম সেখানে তাদের কোনো জন্মগত অধিকার নেই।

২. দখলদার হিসেবে পরিচিতি: ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করে গঠিত হয় ইসরাইল। ১৯৪৭ সালে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনিদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদিবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়।

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নম্বর প্রস্তাবে জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও বাইতুল মোকাদ্দাস তথা জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হিসেবে অভিহিত করা হলেও ইসরায়েল তা দখল করে রেখেছে।

ইসরায়েল জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নতুন করে দুই হাজার ৫০০ ইহুদি বসতি নির্মাণ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। জাতিসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব লিগ আলাদা আলাদা বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরাইলের নয়া বসতি নির্মাণ পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছে।

৩. দ্বিমুখী নীতি : মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক বোমার একমাত্র মনোপলি ইসরাইলের। ইসরায়েলের ডিমোনা আর হাইফায় নিউকিয়ার কার্যক্রম চলে, ইসরাইলকে বিশাল আকারের সেন্ট্রিফিউজও বানাতে হয়নি। কারণ হাইলি ইনরিচড ইউরেনিয়াম আর প্লুটোনিয়াম তারা আমেরিকার কাছ থেকে সরাসরি পেয়ে থাকে।

৪. বিশ্ববাসীর সমর্থন লাভে ব্যর্থতা: ইসরায়েলের জেরুজালেম দখলকে আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকার করে না। দু-একটি দেশ ছাড়া কোনো দেশই জেরুজালেমের কোনো অংশকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে না। পৃথিবীর অনেক দেশের সাথেই ইসরাইলের দূতাবাস বা কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

৫. প্রতিবেশীদের সাথে বৈরিতা: প্রতিবেশীদের সাথে চরম বৈরিতায় নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে ইসরাইল। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতি, বিশ্বসম্প্রদায়ের আহ্বান, কোনো কিছুই আমলে নেয় না ইসরাইল।

৬. ইসরায়েলের নারী সেনাদের পতিতাবৃত্তি: ইসরাইলে নারী সেনাসদস্যরা অর্থের অভাবে পতিতাবৃত্তি করে বলে মিশেল রোজিন নামে দেশটির একজন নারী সংসদ সদস্য তথ্য দিয়েছেন।

এছাড়া, এলেম-ইয়ুুথ ইন ডিসট্রেস ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের শতকরা ৩০ শতাংশ তরুণী অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত।পতিতাবৃত্তিতে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নারী গোয়েন্দারা, ইসরাইলের রাজনৈতিক নারী নেত্রীরা রয়েছেন।

৬. গোঁড়ামি ও চরম জাতীয়তাবাদী: পৃথিবীতে ইসরাইল হলো একমাত্র দেশ যার নাগরিকত্ব পেতে পারে ইহুদিরাই। বিশ্বের যেকোনো ইহুদির ইসরাইলে বসবাসের অধিকার আছে এবং ইসরাইলের ল অব রিটার্ন অনুসারে তারা ইসরায়েলি নাগরিকত্ব পাবে; তাই ইসরায়েলকে বলা হয় প্রমিজ ল্যান্ড।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইহুদি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে।

৭. দাবির সাথে বাস্তবতার অমিল: ইসরাইল জেরুসালেমকে তার অবিভক্ত রাজধানী বলে দাবি করে কিন্তু সেখানে যারা বাস করেন তাদের সাথে এ দাবির কোনো মিল নেই। ফিলিস্তিনিরা বর্ণবাদসদৃশ পরিস্থিতিতে বাস করে, সেখানে ইসরাইলিরা স্বাভাবিক জীবন কাটায় যার নিশ্চয়তা বিধান করে রাষ্ট্র।

৮. নেতৃত্বে শুধুই দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীনেরা: ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট, সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী এহুদ বারাক, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লিকুদ পার্টির সাবেক নেতা অ্যারিয়েল শ্যারনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট মুশে কাতসা যৌন কেলেঙ্কারির কারণে কারাভোগ করেছেন। ইসরাইলের প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো-না-কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

১০. আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন: আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি ভঙ্গকারী ইসরাইল। ইসরাইলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় মারাত্মক ক্যান্সার-জীবাণুবাহী বোমাবর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা জাতিসঙ্ঘের অস্ত্র আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির বিরোধী।

ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, শিশুসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের টার্গেট করা আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন, গণহত্যারও নির্দেশক। জাতিসঙ্ঘও ইসরাইলের অবরোধ আরোপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

মহানবির কটূক্তিতে ফাঁসির আদেশ হওয়া আসিয়া বিবির বেকসুর খালাস!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ