শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


সংবর্ধনা বিষয়ে কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না: আলেমগণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নে ঢাকা ও আশপাশের কওমি মাদরাসার মুহতামিম ও উলামায়ে কেরামকে নিয়ে পরামর্শ সভা শুরু হয়েছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক উলামায়ে কেরাম অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মতিঝিলের পীরজঙ্গী মাদরাসায় শুরু হয় এ পরামর্শ সভায়। এতে শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নে সবার মতমত নেয়া হবে।

আল হাইআতুল উলইয়ার কো চেয়ারম্যান আল্লমা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে শুরু হয় পরামর্শ সভা।

উপস্থিত আছেন, আল হাইআতুল উলইয়া, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক ও অন্যান্য বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় একে একে বক্তব্য রাখছেন শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।

বেফাকুল মাদারিসির কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বোর্ডের সভাপতি মুফতি রুহুল আমীন বলেন, শুকরানা মাহফিল কামিয়াব করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ডাকে আমাদের সবার সারা দেওয়া জরুরি।

কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আছি। আগামীতেও সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে আল্লামা আহমদ শফীর নেতৃত্বে অনেক দাবি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ।

সিলেট এদারা বোর্ডের মহাসচিব মাওলনা আবদুল বছির  বলেন, কওমি মাদরাসার প্রকাশ্য শত্রুরা আজ সমালোনায় নেমেছে, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

আল্লামা আহমদ শফীর প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হজরত নিজের জন্যে কিছু করছেন না, কওমির সন্তানদের জন্য তিনি কাজ করছেন।

কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহসভাপতি ও খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নূরুল ইসলাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। তাদের অপপ্রচার কথা কান দেবেন না।

২৮ অক্টোবর হিজামা সুন্নাহর প্রথম দিন

বেফাকের সহকারী মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন বলেন, সংসদে শুধু কওমি সংসদের স্বীকৃতি হয়নি, চার মাজহাব, তাসাউফের চার তরিকা ইত্যাদির বিষয়ে আইন পাশ হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আমরা শুকরানা মাহফিল করছি, অনেকে নানা প্রশ্ন করছেন। আমি বলবো, সোহরাওয়ার্দী ময়দানে শুকরানা মাহফিল ভালোভাবে করতে না পারলে বামপন্থীরা খুশি হবে। আহলে বেদাত এবং বিশেষ রাজনৈতিক মহল আনন্দিত হবে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে শুকরানা মাহফিল সাফল্যের দায়িত্ব আমাদের সবার।

সভায় শীর্ষ উলামায়ে কেরামের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মুফতি মুহাম্মাদ আলী, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু মুসা, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দিন, মাওলানা ইউনুস, মুফতি নূরুল আমিন, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা মুশকাত আহমদ, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মাওলানা মু. অছিউর রহমান প্রমুখ।

শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নে হাইআতুল উলয়ার ব্যাপক প্রস্তুতি


সম্পর্কিত খবর