বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


খালেদার সাজা বাড়ায় বিএনপি স্তম্ভিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের প্রত্যাশায় থাকা বিএনপি উল্টো রায় শুনে হতবাক।

কারণ, বিচারিক আদালত যেখানে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিল, হইকোর্ট বিভাগ তা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার আসা এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় করা সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি নজিরবিহীন।

‘এই রায়ে আমরা স্তম্ভিত। আমরা মনে করি সরকারের ইচ্ছার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেছে এই রায়ে’- হতকচিত ফখরুল বলেন এ কথা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার বয়স, সামাজিক মর্যাদা এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার কম সাজা দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিচারক।

এই রায়ের পর হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি নেত্রী। আর মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশন করে সাজা বৃদ্ধির আবেদন।

শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের আবেদনটি গ্রহণ করে, সাজা দ্বিগুণ বাড়িয়ে কারাদণ্ড করা হয় ১০ বছরের।

এই রায়ের ফলে বিএনপি নেত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচনে লড়ার জন্য অযোগ্য হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মির্জা ফখরুল বলছে, তার নেত্রীর কারাদণ্ড বাড়ানোর রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে এই আদেশ দেয়নি।

‘সবাই ধারণা করে নিয়েছিল আপিলে বেগম খালেদা জিয়া খালাস পেয়ে যাবেন। কারণ মামলার মধ্যে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সাক্ষ্য প্রমাণ করতে পারেনি। সে কারণে পাঁচ বছর সাজা দেয়া হয়েছিল। সেখানে এখন দশবছর দেয়া হলো। এই অস্বাভাবিক রায় পরিষ্কারভাবে সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন বলে আমরা মনে করি।’

রায়ের প্রতিবাদে নতুন কোনো কর্মসূচি সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘গতকাল আমরা রায়ের বিরুদ্ধে (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড) একটি কর্মসূচি দিয়েছি সেটা বহাল থাকবে।

জনসভার কর্মসূচি আছে সেটা আমরা করব। সেখান থেকে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন-
সংবর্ধনা বিষয়ে কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না: প্রস্তুতি সভায় আলেমগণ
‘বেফাকভুক্ত কোনো মাদরাসা মাওলানা সাদ অনুসারী হলে বহিস্কার’

এটি/আওয়ার ইসলাম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ